ঐতিহাসিক স্থান ঘুরতে চান? উইকেন্ডে ঘুরে আসুন। বারাণসীর কাছে গঙ্গার ওপর চুনারগড়। ঐতিহাসিক চুনার দুর্গ। লাল বেলে পাথরে নির্মিত এই দুর্গ। বিন্ধ্য পাহাড়ের ওপর দুর্গ বহু ইতিহাসের সাক্ষী। পাহাড়ের ওপর আছে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দির। মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়।
শোনা যায় গুপ্ত সম্রাট বিক্রমাদিত্যের সময়কার দুর্গটি। প্রাচীন ভারতের সাক্ষ্য বহন করছে। কেউ কেউ বলেন চন্দ্রার কেল্লা। গুপ্ত যুগের শিলালিপি চুনারগড় থেকে পাওয়া গিয়েছিল।

চন্দ্রগুপ্তের মুদ্রা
একসময় শের শাহ সুরির অপ্রতিরোধ্য ঘাঁটি ছিল চুনারগড়। তিনি নাকি এই দুর্গ বিয়ের যৌতুক হিসেবে পেয়েছিলেন। মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এই দুর্গ আক্রমণ করেছিলেন। চুনারগড়কে কেন্দ্র করে মুঘল ও পাঠানদের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আকবর এই দুর্গ দখল করেছিলেন। বর্তমান দুর্গের বেশিরভাগ স্থান সম্রাট আকবরের আমলে নির্মিত হয়েছিল মনে করা হয়।

চুনারের পুরনো চিত্র
চুনারগড় এর মধ্যেই আছে এক অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপত্য। যা রহস্যে আবৃত। সোনওয়া মন্ডপ। দুর্গের ভেতর এক বিশেষ ভবন। মনে করা হয় ভবনে দরজার ওপরটি সোনা দিয়ে মোড়ানো। সোনওয়া মন্ডপের সঙ্গে নেপালি রাজা সন্দেবের রাজকন্যা সোনওয়ার নাম জড়িয়ে। রাজকন্যা মন্ডপের এক গোপন সুড়ঙ্গ পথে গঙ্গাস্নান করতে যেতেন। ১০২৯ খ্রিস্টাব্দে রাজা সহদেব এটি নির্মাণ করেছিলেন।

সোনওয়া মন্ডপ, চুনারগড়
১৭৬৪ সালে বক্সার যুদ্ধের পর চুনারগড় ইংরেজদের দখলে আসে। এখানে আজও একটি ইংরেজদের গোরস্থান আছে।
কিভাবে যাবেন:
কলকাতা বা হাওড়া থেকে ট্রেনে কাশীধাম চলে আসুন। সেখান থেকে গাড়ি বুকিং করে ঘুরে নিন চুনারগড়।