হৃষীকেশ: আর লছমনঝুলার ওপর দাঁড়িয়ে হিমালয় থেকে নেমে আসা গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন না। এখন থেকে গঙ্গার এ পারে দাঁড়িয়েই দেখতে হবে এই ঝুলন্ত সেতুকে। লছমনঝুলা দিয়ে ও পারে যেতে পারবেন না পর্যটকরা। এই সেতু বন্ধ করে দিল উত্তরাখণ্ড সরকার। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেতুতে এমন ক্ষতি হয়েছে, যা সারিয়ে তোলা যাবে না।
আরও পড়ুন বর্ষায় চলুন মুম্বই থেকে শনি শিংনাপুর-শিরডি-নাসিক
এই ঝুলন্ত সেতু দিয়ে দু-চাকার গাড়িও যেত। স্থানীয়দের বক্তব্য, এর জন্যই মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে ওই সেতুর। গত ৫ জুলাই বেসরকারি একটি সংস্থাকে দিয়ে এই সেতুর ওপরে একটি সমীক্ষা করায় উত্তরাখণ্ড সরকার। লছমনঝুলার সঙ্গে তার পাশের রামঝুলাও পরিদর্শন করে তারা। এর পরে তারা যে রিপোর্ট জমা দেয়, তাতেই বিষণ্ণ হৃষীকেশের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকরা।
রিপোর্টে বলা হয়, লছমনঝুলা অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে। অন্য দিকে রামঝুলাটি মেরামত করে শুধুমাত্র হাঁটার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ওই সেতু দিয়েও দু-চাকার যান যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
লছমনঝুলার বর্তমান সেতুটি ১৯২৪ সালে তৈরি শুরু হয়। এর ছ’বছর পর সাধারণ মানুষের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। উত্তরাখণ্ড পিডব্লিউডির অবসরপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, “প্রথমে এই সেতুর ওপরে প্রতি বর্গ মিটারে সর্বোচ্চ ২৫০ কিলো ওজন নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ২০১০-এ তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলো করে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত ওজন বহনের এই অনুমতি দেওয়ার জন্যই এই সেতুর বড়ো ক্ষতি করে দিয়ে গেল।”