আট মাস পর নীলগিরিও খুলল, ঘুরে আসতে পারেন উটি, কুন্নুর আর কোটাগিরি

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: দেশের পর্যটন শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে একে একে খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটনস্থলগুলির দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ বার খুলে গেল নীলগিরি। সোমবার থেকেই নীলগিরি তথা উটি, কুন্নুর আর কোটাগিরির পর্যটনস্থলগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

তামিলনাড়ুর নীলগিরিস জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর জে ইনোসেন্ট দিব্য গত সপ্তাহান্তে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পর্যটন দফতরের পাশাপাশি বন দফতর ও স্থানীয় সম্প্রদায় পরিচালিত ইকো-ডেভেলপমেন্ট কমিটি যে সব দর্শনীয় স্থানের দায়িত্বে রয়েছে, সেগুলিতে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার থেকে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে।

উটি লেক।

ইতিমধ্যে নীলগিরি অঞ্চলে হর্টিকালচার দফতরের অধীনে যে সব পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে অর্থাৎ সিমস্‌ পার্ক (কুন্নুর), বোটানিক্যাল গার্ডেন (উটি), রোজ গার্ডেন (উটি), ক্যাটারি পার্ক (কুন্নুর) নভেম্বর মাসেই খুলে দেওয়া হয়েছে।

আর উটি লেক, বোট হাউস, নাইন্থ মাইল, পাইকারা লেক (উটি থেকে ২২ কিমি), দোদাবেট্টা পিক (উটি থেকে ৯ কিমি) এবং কোদানাড় ভিউ পয়েন্ট (উটি থেকে ৪৬ কিমি, কোটাগিরি থেকে ১৮ কিমি) গত মার্চ থেকে বন্ধই ছিল। এই সব দর্শনীয় স্থান এ বার খুলল।

পাগোলকড়ু মুন্ড ইকো-ডেভেলপমেন্ট কমিটির (ইডিসি) প্রেসিডেন্ট নর্থে কুট্টান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, পর্যটনস্থলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইডিসি-র প্রত্যেক কর্মীকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস্‌ আর মাস্ক দেওয়া হয়েছে। টিকিট স্টল আর বসার জায়গাগুলো দু’ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।

নীলগিরির পথে যেতে যেতে।

পর্যটকরা যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলেন এবং যাতে মাস্ক বা ফেস কভার পরেন তার জন্য অবিরাম প্রচার চালাতে মাইক্রোফোন ও স্পিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বোট হাউসের মাঝিরা জানিয়েছেন, তাঁদের নৌকাগুলো মার্চ থেকে ব্যবহার হয়নি। তাই মেরামতির প্রয়োজনীয় কাজ সারা হয়েছে এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করছেন তাঁরা।

বোটানিক্যাল গার্ডেন, উটি।

আশেপাশের দোকানদারেরাও তাঁদের দোকানপাতি খুলছেন। মার্চ মাস থেকে কার্যত কোনো ব্যাবসা হয়নি। আতান্তরে পড়েছিলেন তাঁরা। এ বার তাঁরা একটু একটু করে আশার আলো দেখছেন।     

আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকেশন’ নয়, নব্য স্বাভাবিকতার নতুন ধারা ‘ওয়ার্কেশন’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *