ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে যেখানে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে কিছু খোলার খবর উৎফুল্ল করার মতো বই-কি!
করোনা-আতঙ্ক থেকে একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছে চিন। তাই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল চিনের প্রাচীরের খানিকটা অংশ। বেজিং-এর কাছে বিখ্যাত বাডালিং শাখাটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিস্তীর্ণ অংশ লকডাউন করে দেওয়া হয়। তারই সূত্র ধরে বন্ধ হয়ে যায় চিনের বিখ্যাত প্রাচীর। গত দু’ মাস ধরে পর্যটকদের কাছে প্রাচীরের দরজা বন্ধ ছিল। করোনা-পরিস্থিতি যখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পথে, ঠিক সেই সময়ে চিনের সরকার কিছুটা অংশে দর্শনার্থীদের যেতে দেওয়ার অনুমতি দিল।
আরও পড়ুন: পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ৯/ পরিক্রমা অন্তে হোর-এ
তবে চিনের প্রাচীরের কিছুটা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলেও তাঁদের ভ্রমণে আপাতত কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সাধারণত রোজ যত জন পর্যটক প্রাচীর দেখতে যান, আপাতত তার ৩০ শতাংশকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতি দিন সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি দর্শনার্থীকে প্রাচীর দেখার অনুমতি দেওয়া হবে না। ‘বাডালিং গ্রেট ওয়াল’-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে কিংবা উইচ্যাট (WeChat) অ্যাপে অগ্রিম টিকিট কাটতে হবে। শুধু তা-ই নয়, প্রাচীর দেখার জন্য প্রত্যেক দর্শনার্থীকে স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে একটি হেলথ্ ক্লিয়ারেন্স কোড সংগ্রহ করতে হবে।
বাডালিং শাখা নানা কারণে চিনের প্রাচীরের সব চেয়ে জনপ্রিয় অংশ। এটি রাজধানী বেজিংযের খুব কাছে। মধ্য বেজিং থেকে মাত্র ৬০ কিমি উত্তরপূর্বে। ট্রেন, বাস বা গাড়িতে সহজেই এখানে আসা যায়।
চিনের প্রাচীরের এই অংশেই বিশ্বনেতারা বেড়াতে আসেন। এখানে এসেছেন রানি এলিজাবেথ, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন, বারাক ওবামা প্রমুখ। উত্তর দিক থেকে মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণ ঠেকাতে প্রাচীরের ১২ কিমি দীর্ঘ এই অংশটি ১৩৬৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মিং রাজাদের রাজত্বকালে তৈরি হয়। এর ৪ কিমি অংশ সংস্কার করা হয়েছে। এই অংশেই যেতে পারেন পর্যটকরা।
শুধু বেজিংযের কাছে বলেই নয়, এই বাডালিং শাখাই চিনের প্রাচীরের সব চেয়ে সুন্দর অংশ। এই অংশে ১৭টি নজরমিনার আছে, যেখান থেকে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
প্রতি দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে বাডালিং।