অসমের ঐতিহ্যবাহী সাতটি মন্দিরকে ব্রহ্মপুত্র নদীর জলপথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে অসম সরকার। কামাখ্যা মন্দির থেকে উমানন্দ মন্দির—একটি ভ্রমণেই দর্শন করা যাবে সাতটি ঐতিহাসিক মন্দির। ইতিমধ্যে বন্দর, জাহাজ এবং জলপথ মন্ত্রকের সবুজ সংকেতও পাওয়া গিয়েছে। ৬৪৫.৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে সাগরমালা প্রকল্পের অধীনে।
অন্তর্ভুক্ত সাত মন্দির
১. কামাখ্যা মন্দির:
অসমের গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির ৫১ শক্তিপীঠের একটি। অম্বুবাচী উৎসবে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর আগমন হয়। এটি তন্ত্রচর্চার পীঠস্থান হিসেবেও পরিচিত।
২. পাণ্ডুনাথ মন্দির:
গুয়াহাটির তিলা পাহাড়ে মহাভারতের পাণ্ডবদের স্মরণে স্থাপিত এই মন্দিরে পাঁচ গণেশমূর্তি রয়েছে। কথিত, পাণ্ডবরা ছদ্মবেশে এখানে লুকিয়ে ছিলেন।
৩. অশ্বক্রান্ত মন্দির:
কৃষ্ণ আরাধ্য এই মন্দির রাজা শিব সিংহের আমলে নির্মিত। ব্রহ্মপুত্র তীরের এই মন্দির কৃষ্ণের নরকাসুর বধের ঐতিহ্য বহন করে।
৪. দোল গোবিন্দ মন্দির:
চন্দ্রভারতী পাহাড়ে অবস্থিত কৃষ্ণের এই মন্দিরটি ১৫০ বছরের পুরনো। এখানে প্রতি বছর দোলযাত্রা বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয়।
৫. উমানন্দ মন্দির:
ব্রহ্মপুত্রের বুকে ছোট দ্বীপে শিবের মন্দির। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নৌকাবিহার এই মন্দিরকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
৬. চক্রেশ্বর মন্দির:
ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত শিবের এই মন্দির দর্শনার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৭. আউনিয়াতি সত্র:
মাজুলির এই ঐতিহাসিক মঠ তথা সত্রটি অহোম রাজা জয়ধ্বজ সিংহ নির্মাণ করেন।
পর্যটনে নতুন দিশা
অসম সরকার আশা করছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে। ব্রহ্মপুত্রের বুকে মন্দির দর্শন পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিও লাভবান হবে।
পরিবেশবান্ধব ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ
জলপথ সম্প্রসারণে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটাতে প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: তৎকাল টিকিট বুকিং-এর সময়সূচি পরিবর্তন, যাত্রীদের জন্য আরও সুবিধা