বাংলার দারুশিল্প বা কাষ্ঠশিল্প জগৎ জুড়ে খ্যাতি। হালকা কাঠ কেটে খোদাই করে বিভিন্ন ভাস্কর্য নির্মিত হয়। সাধারণত হালে কিছু দারুশিল্পী এমন শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছে। হাতি, ঘোড়া, রাজা রানী, পেঁচা ইত্যাদি কাঠ খোদাই করে নির্মাণ হয়। তবে এদের মধ্যে অন্যতম কাঠের পেঁচা ও ষোড়শ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক গৌরনিতাই। বাংলায় বিশেষ দারুশিল্পের এই নকশার পুতুল আর কোথাও সহজলভ্য নয়।নতুনগ্রামে এই পুতুলটি বানানো হয়। অতীতে এক কাঠুরে এই গ্রামে বসতি করেন। তখন থেকে আজও গ্রামটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। তিনি নাম দিয়েছিলেন নতুনগ্রাম। এখানকার কাঠের পুতুল বিখ্যাত। গৌরনিতাই পুতুলের চাহিদা বেশি। এই পুতুল বিক্রির মধ্যে দিয়েই প্রতি ঘরে যেন তার উপস্থিতি। সর্বত্র তিনি বিরাজমান। প্রতি ঘরে ঘরে গৌরনিতাই এর অনুভব। তিনি বলেছিলেন, কলিকালে ভক্তি ছাড়া পথ নেই।বৈষ্ণব হিন্দু সমাজের অন্যতম বৃহৎ অংশ বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জুড়ে। আজও গ্রাম বাংলায় শিশুরা পুতুল নিয়ে খেলে। তাদের কাছেও গৌরনিতাই জনপ্রিয়।গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা সমভাবে পুতুলটিকে নির্মাণ করেন। শান্তিনিকেতন ও জেলার বিভিন্ন পৌষমেলায় গৌরনিতাই পুতুল বিক্রি হয়। অবশ্য ধীরে ধীরে এই পুতুল হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে যান্ত্রিক খেলার সামগ্রী।
