শীত মানেই নলেন গুড়। শীতের পিঠে, পুলি, পায়েসে নলেন গুড় লাগবেই। গুড় থেকে গৌড় দেশ।
এককালে অজয় নদী ধরে বণিকের পোত যেত তাম্রলিপ্ত বন্দর। বণিকেরা হাজারী গুড় বা খেজুরের রসের স্বাদ নিতেন। নীহাররঞ্জন রায়ের বাঙালির ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছে নলেন গুড়ের কথা। দ্বাদশ শতাব্দীর শ্রীধর দাসের গ্রন্থে উঠে এসেছে নলেন গুড়ের স্তুতি।
খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেই নলেন গুড় উৎপাদন হয়। নলেন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা, পিঠে, পায়েসে খাঁটি গুড় তুলনাহীন। কিন্তু খাঁটি গুড় কোথায় পাবেন। সর্বত্র আজকের দুনিয়ায় ভেজাল। গ্রামেগঞ্জে যদিও ভেজাল গুড় সে ভাবে বিক্রি হয় না। কিন্তু শহরে রমরমিয়ে বিক্রি চলছে।
ভালো দোকান থেকে নলেন গুড় কিনুন। তা হলে ঠকবেন না। গন্ধ দিয়েই বোঝা যায় গুড় খাঁটি কিনা। কলকাতার নতুন বাজারে এক বৃদ্ধ চাচার কাছে ভালো গুড় পাবেন। আসল স্বাদ উপভোগ করুন। বিভিন্ন দামের গুড় পাবেন। নির্ভেজাল পাটালি গুড় মিলবে।

সেকালে কলকাতায় ছিল গুড় পট্টি। নৌকা করে বিভিন্ন জেলা থেকে আসত গুড়। তার পর সেখান থেকে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হত। সেই দিন আজ আর নেই।
ব্যস্ত রবীন্দ্র সরণির ওপর নতুন বাজার। এই বাজারের ভেতরেই রুহুল চাচার গুড়ের দোকান। বারো মাস তিনি গুড় ও পাটালি বিক্রি করেন। চাচার ব্যবহার খুব ভাল। স্বাদে গুণে আসল গুড় চেখে দেখতে চাইলে রুহুল চাচার দোকান একবার আপনার গন্তব্য হতেই পারে।
কী ভাবে যাবেন
সড়কপথে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর যে কোনো বাস ধরে গিরিশ পার্ক স্টপে নেমে পড়ুন। সেখান থেকে সামান্য হাঁটলেই নতুন বাজার।
রুহুল আমিন চাচা
যোগাযোগ: 9800684590