সেকালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভেবেছিল হুগলি নদী নব্যতা হারিয়ে ফেলবে। নদীতে স্রোতও থাকবে না। ফলে তাদের ব্যবসা বাণিজ্যে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে মাতলা নদীর পাড়ে তারা একটি বন্দর তৈরি করে। ‘পোর্ট ক্যানিং’।
কোম্পানির এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। মাতলা নদী হারিয়ে ফেলে নব্যতা। ততদিনে ভারতের শেষ গভর্নর লর্ড ক্যানিং সাহেব নিজের সাধের পোর্ট ক্যানিং ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন। অসমাপ্ত থেকে যায় সাহেবের বন্দর।
মাতলা বর্ষায় ভয়াল রূপ নেয়। এই নদী দুই শাখা নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে।
ক্যানিং শহরে মাতলা নদীর তীরে ক্যানিং সাহেবের ভাঙা বাড়িটি অনেকই আসেন দেখতে। খানিক সময় কাটিয়ে যান।
ক্যানিংয়ে মাতলা নদীর চরে শুরু হয়েছে ৪৬তম সুন্দরবন মেলা। সুন্দরবনের আকাশে-বাতাসে মিশে থাকে নানান গল্পকথা। সাধারণ মানুষের সংগ্রামের ছবি। তাদের জীবনের বহু কথা প্রদর্শনীতে আসলে অনুভব করা যায়।
গ্রামের মানুষ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা সামগ্রীর পসরা নিয়ে স্টল বসেছে। অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠানও।
প্রদর্শনটি চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এখানে রয়েছে বারুইপুর প্রেস ক্লাবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। নাম ‘চিত্রে চিত্র’। লোক-আখ্যান, ইতিহাস, মানুষের জীবন যাপন ইত্যাদি আলোকচিত্রে স্থান পেয়েছে। মোট ৬৫ টি ছবি। হস্তশিল্পীরা তাদের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে স্টলে বসেছেন। যা শিকড়ের টান মনে করিয়ে দেয়।