একাধিক ইতিহাসে সুন্দরী রানীর নাম পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন রানী রুদাবাই। তিনি ছিলেন গুজরাটের পাটন জেলার রানা বীর সিং এর স্ত্রী। রানী ছিলেন বীরাঙ্গনা।
তুর্কি শাসক সুলতান বেঘরার নজর ছিল রানীর দিকে। প্রথম যুদ্ধে বীর সিং সুলতানকে পরাজিত করেন। সুলতান দ্বিতীয় বার আক্রমণ করলে বীর সিং সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজিত হন। এরপর রানী রুদাবাইয়ের কৌশলে সুলতানের বেঘোরে প্রাণ যায়। রানী বুকের ভেতর থেকে সুলতানের হৃদপিণ্ডটি বের করে রাজ্যের মাঝখানে ঝুলিয়ে দেন।
আমদাবাদের গান্ধীনগরে রানী রুদাবাই নির্মাণ করেন ভাভটি। কূপটি প্রায় পাঁচ তলা গভীর। স্থাপত্যের দিক থেকে এক অসাধারণ সৃষ্টি। স্থানীয় জল সংকটে এই কূপটির গুরুত্ব অপরিসীম। এখান থেকেই গোটা গ্রামে জল সরবরাহ হতো। যা আদালাজ নি ভাভ নামে পরিচিত।

কূপটি বেলে পাথরে নির্মিত। এর মধ্যেই রয়েছে একটি সুবিশাল স্তম্ভ। প্রতিটি তলায় প্রচুর সংখ্যক মানুষ জমায়েত হতে পারে। বিভিন্ন দেবদেবীর ভাস্কর্য ও নকশা দেওয়ালে খোদাই করা আছে। কূপে রৌদ্র ছায়া লুকোচুরি খেলে যায়। তীব্র গরমের সময় কূপের মধ্যে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। ঠান্ডা বাতাস ভেসে বেড়ায়। নির্মাণ শৈলীর দিক থেকে এক আশ্চর্য সৃষ্টি।
কিভাবে যাবেন:
কলকাতা থেকে ট্রেনে আমদাবাদ বা গান্ধীনগর চলে আসুন। সেখান থেকে অটোরিকশায় পৌঁছে যান গন্তব্যে।