ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: গোয়ার আনজুনা বিচের নাম তো শুনেছেন কিন্তু দমন উপকূলের দেবকা সমুদ্রসৈকতের নাম শুনেছেন? শোনেননি? তা হলে এ বার ঘুরে আসুন সুন্দর দমনে। সমুদ্র উপকূল ছাড়াও এখানে রয়েছে আরও আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য যেমন, মিরাসল লেক গার্ডেন, দেবকা ও জামপুর সমুদ্রসৈকত, বিভিন্ন পর্তুগিজ গির্জা এবং অবশ্যই মোতি দমন ফোর্ট এবং নানি দমন ফোর্ট। এ ছাড়া দমন শহরটি ঘুরে দেখার সুযোগ তো আছেই।
কী দেখবেন
মোতি দমন ফোর্ট ও লাইট হাউস
দমন গঙ্গা নদীর তীরে আরব সাগরের মোহনায় এই কেল্লা অবস্থিত। এই কেল্লায় প্রবেশ করে যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবেন তখন চোখে পড়বে নীল-গোলাপি রঙের পর্তুগিজ ধাঁচের অসংখ্য বাড়ি। দমনে পর্তুগিজ উপনিবেশ গড়ে ওঠার পরেই ১৫৫৯ সালে এই কেল্লা তৈরি হয় এবং এই কেল্লা আপনাকে নিয়ে যাবে সেই ষোড়শ শতকে। এ ছাড়া মোতি দমনের পাশেই আছে একটি অতি প্রাচীন লাইট হাউস। বহু দূর থেকে দেখতে পাওয়া এই লাইট হাউসটিও ইতিহাসের সাক্ষী।
নানি দমন
এই নানী দমনে যদিও বেশি পর্যটক যান না, তবে এটিও কিন্তু আরেকটি ঐতিহাসিক স্থান। নানী দমনের পুরোনো পাড়াগুলো তার আভিজাত্যে সমুজ্জ্বল।
দেবকা ও জামপুর সৈকত

নানী দমন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেবকা সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতে আপনি উপভোগ করতে পারবেন এক অসাধারণ সূর্যাস্ত।
মোতি দমন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সোনালি বালি দিয়ে মোড়া আরেকটি সমুদ্র সৈকত হল জামপুর সৈকত। ভাটার সময় এই সমুদ্র সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
আরও পড়ুন পর্যটকরা এ বার দিঘায় সমুদ্রস্নান করে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেবেন
মিরাসল লেক গার্ডেন
মিরাসল লেক গার্ডেন বা দমন কাদাইয়া লেক গার্ডেন হল মানুষের হাতে গড়া আরও একটি আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য। লেকে নৌ ভ্রমণের পাশাপাশি টয় ট্রেন চড়া এবং রেস্তোরাঁগুলিতে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে পারেন এই জায়গায়।
চ্যাপেল অফ আওয়ার লেডি অফ রোজারি
মোতি দমন কেল্লা অঞ্চলেই সতেরোশো শতকে তৈরি হওয়া চ্যাপেল অফ আওয়ার লেডি অফ রোজারি হল দমন উপকূলের সবচেয়ে পুরোনো গির্জা। গথিক স্টাইলে গঠিত এই গির্জাটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।

কী ভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে ট্রেনে বারদোলি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে দমন, ১০৮ কিমি। অথবা সুরাত ট্রেনপথে দেশের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে যুক্ত। সুরাত থেকে বাস বা গাড়িতে দমন, ১২২ কিমি। মুম্বই থেকে গাড়িতে সুরাত, ১৭৭ কিমি। হাওড়া-অমদাবাদ এক্সপ্রেস রোজ রাত্রি ১১.৫৫ মিনিটে হাওড়া ছেড়ে তৃতীয় দিন সকাল ৭.৪৬-এ বারদোলি, ৮.৫৭ মিনিটে সুরাত পৌঁছোয়। বিমানে সুরাত বা মুম্বই গিয়ে সেখান থেকে দমন যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
দমনে থাকার জন্য অনেক বেসরকারি হোটেল ও রিসর্ট আছে। নেট সার্চ করে এ সবের সন্ধান পাওয়া যায়। নানি দমনে সার্কিট হাউসে পর্যটকরা থাকতে পারেন। যোগাযোগ ই-মেল chnanidamanbook@gmail.com ।
কী ভাবে ঘুরবেন
গাড়ি বা অটো ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন দমন।
মনে রাখবেন
গুজরাত ভ্রমণের সঙ্গে বা মহারাষ্ট্রের উত্তর কোঙ্কন ভ্রমণের সঙ্গে বেড়িয়ে নিতে পারেন দমন।