ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: শাশা ও উদয়ের পর দক্ষ। ৪০ দিনের মধ্যে কুনো জাতীয় উদ্যানে তৃতীয় চিতার মৃত্যু হল। যে চিতাগুলিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল, দক্ষ তারই অন্যতম।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের তরফে জানানো হয়েছে, কোনো ভাবে আঘাত পেয়েছিল দক্ষ। উদ্যান কর্তৃপক্ষ তা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চোট পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে মহিলা চিতা দক্ষ। মধ্যপ্রদেশের চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট জেএস চৌহান জানান, দুই পুরুষ চিতা বায়ু ও অগ্নির সঙ্গে মিলনের সময় কেউ একজন হিংসাত্মক হয়ে পড়েছিল। তাই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তার জেরেই হয়তো চোট পেয়েছিল সে।
এক নম্বর খাঁচা থেকে ছাড়া হয়েছিল দক্ষকে। অন্য দিকে ৭ নম্বর থেকে বের করা হয় ব্যাস অগ্নি। কিন্তু কোনো এক পুরুষ চিতা আচমকাই হিংস্র হয়ে ওঠার কারণেই চোট পায় দক্ষ। সেই আঘাতই সহ্য করতে পারেনি সে।
লক্ষ্য ছিল দেশে চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি। যার জন্য গত বছর নামিবিয়া থেকে এয়ারলিফ্ট করে আনা হয় ৭টি চিতাকে। আবার ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও এক ডজন চিতা। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদের রাখার ব্যবস্থা হয়। সেই ১২ চিতার মধ্যে এর আগে মহিলা চিতা শাশার মৃত্যু হয়েছিল। তার দিন কয়েক পরই প্রাণ হারায় উদয়। এ বার মৃত্যু হল দক্ষর। তিন চিতার মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতার সংখ্যা কমে হল ১৬।