মানস সরোবর

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: শেষ পর্ব/ দুর্যোগ কাটিয়ে ঘরে ফেরা

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) ভোরের আলো ফোটার আগেই রওনা দিলাম নাজাং-এর উদ্দেশে। সবার মুখ থমথমে। লিয়াজঁ অফিসারদের খুব চিন্তাগ্রস্ত লাগছে। কাল রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি চলছে, সঙ্গে কনকনে হাওয়া। চারিদিক থেকে ধসের খবর আসছে। দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না। বৃষ্টির মধ্যেই কালী নদীকে বাঁ হাতে রেখে পাহাড়ের ঢাল বরাবর সরু রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছি। কোথাও […]

Mount Kailas from Manas

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ১১/ ফেরার পথে গুনজি হয়ে বুধি

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) কাল প্রায় সারা রাত জেগে কেটেছে। চোখ জ্বালা করছে। কিন্তু যে দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছি, তাতে মনে অপার শান্তি। অতিথিশালায় ফিরে এসে বাকি সময়টা বসে বসেই কাটিয়ে দিয়েছি। আজ মানসকে বিদায় জানানোর পালা। আরেক বার গেলাম মানসের পাড়ে। দূরে উজ্জ্বল কৈলাস পর্বত। ভোররাতের ঘটনার কথা ভেবে এখনও লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে।

Mount Kailas from Qugu

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ১০/ সেই জ্যোতিদর্শন

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) বেলা ১১টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম কিউগুতে। মানসের তীরে এই জনপদ। সরোবরের নীল জলরাশি সূর্যের আলোয় হিরের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। শত সহস্র জলকণা সূর্যের আলোয় তারার মতো জ্বলজ্বল করছে। দূরে দেখা যাচ্ছে কৈলাস পর্বত। সরোবর সংলগ্ন এক অতিথিশালায় আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের ঘরের জানলা দিয়ে হাত বাড়ালেই যেন মানসের জলের স্পর্শ

Gaurikund

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ৯/ পরিক্রমা অন্তে হোর-এ

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) মাঝে মাঝে বরফে পা হড়কে যাচ্ছে। জুতো তো প্রায়ই বরফে ঢুকে যাচ্ছে। ফলে জুতো-মোজা ভিজে একাকার। খুব সাবধানে লাঠি গেঁথে গেঁথে দোলমা পাসের উপর উঠতে থাকি। চলার গতি স্বভাবতই অনেক কম। ছোটো ছোটো গর্ত, ওপরে কাচের মতো স্বচ্ছ বরফের আস্তরণ। লাঠি দিয়ে চাপ দিতেই বরফ ভেঙে জল বেরিয়ে পড়ছে। চারিদিকে

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ৮/ কৈলাস-দর্শনের সিংহদুয়ারে

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) ১০ আগস্ট। আজ আমাদের কৈলাস পরিক্রমা শুরু হবে, নয় কিমি দূরের যমদুয়ার থেকে। ছোটো বাসে চেপে পৌঁছে গেলাম সেখানে। পুরাণে আছে, যমরাজ এখানেই নাকি খাতা খুলে বসে  থাকেন। আমাদের কৃতকর্ম ভালো হলে স্বর্গের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলে। নচেৎ ফেরত যেতে হয় মনুষ্যজন্মে। ভাগ্যিস এখন যমরাজ নেই! শুরু হল

manas sarovar

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ৭/ মানসদর্শন

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) ৮ আগস্ট। প্রতি দিনের অভ্যাসমতো ঘুম ভাঙল ভোর ৫টায়। আমার ঘড়িতে ভোর ৫টা। আদতে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা। তিব্বত তথা চিনা সময় আড়াই ঘণ্টা এগিয়ে। যা-ই হোক, ভোর ৫টা হোক বা সকাল সাড়ে ৭টা, সূর্যদেব কিন্তু তখনও ওঠেননি। বাইরে বেশ অন্ধকার। আরও আধ ঘণ্টা পর সূর্যোদয় হল। আমরাও একটু

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ৫/ নবী হয়ে ফের গুনজিতে

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) আজ ২ আগস্ট। ভোর ৪টেয় উঠে রেডি হয়ে গেলাম। বোর্নভিটা বিস্কুট দিয়ে চা-পর্ব সাঙ্গ হল। বাইরে এখনও গাঢ় অন্ধকার। হেড টর্চ মাথায় লাগিয়ে বাইরে এলাম। আজকের গন্তব্য ১৭ কিমি দূরের গুনজি বেস ক্যাম্প। প্রতি দিনের মতো শিবের ভজন গেয়ে যাত্রা শুরু হল। সামনেই বিশাল পাহাড়। এই পাহাড় টপকে যেতে হবে

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ৪/ ফুলের উপত্যকা ছাড়িয়ে বুধিতে

সুব্রত গোস্বামী (পূর্ব প্রকাশিতের পর) ১ আগস্ট। ঘড়ির অ্যালার্মে ঘুম ভেঙে গেল। ভোর ৪টে। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেয়ে ৫টা নাগাদ টাটা সুমোয় চেপে রওনা হলাম। আপাতত গন্তব্য ৫৬ কিমি দূরে নাজাং। সেখান থেকে শুরু হবে হাঁটা। কিছু দূর যাওয়ার পরেই বিপত্তি। ধসে বড়ো বড়ো পাথর পড়ে রাস্তা বন্ধ। রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য জেসিবি আছে, কিন্তু চালক নেই।

পরমেশ্বরের সন্ধানে কৈলাস-মানসে: পর্ব ১/ ডাক এল

সুব্রত গোস্বামী ২০১৯–এর এপ্রিল। বিদেশ দফতর থেকে এল ই–মেল। আমার সমস্ত শরীর রোমাঞ্চিত। তা হলে কি আমার স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে? গত প্রায় দশ বছর ধরে যে স্বপ্ন মনে মনে লালন করে এসেছি, সে–ই স্বপ্ন কি সত্যি হবে? বিদেশ দফতর জানিয়েছে, কৈলাস–মানসযাত্রায় আমার নাম লটারিতে উঠেছে। ১৩ নম্বর ব্যাচে আমার নাম রয়েছে। অবশ্য নাম ওঠাই

Scroll to Top