ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: বেড়াতে গিয়ে রাজকীয় বিলাসে থাকতে চান? তা হলে রাজস্থান চলুন। সেখানে বহু পুরোনো হাভেলি বা কিল্লা আছে যা এখন রাজকীয় বিলাসে সমৃদ্ধ হোটেলে পরিণত হয়েছে। এ সব জায়গায় থাকলে একটা রাজকীয় অনুভূতি হবেই। আপনাকে কোথাও যেতেও হবে না, হাভেলির বারান্দা বা লনে বসেই কেটে যাবে সময়। আর এই সব হাভেলিতে রাত কাটানোর কোনো নির্দিষ্ট মরশুম নেই। বছরের যে কোনো সময়ই যেতে পারেন আপনি। এ রকমই কিছু হাভেলি হোটেলের সন্ধান দিল ভ্রমণঅনলাইন।
ডেজার্ট হাভেলি গেস্ট হাউস, জৈসলমের
এই গেস্ট হাউসটি আসলে সোনার কেল্লার মধ্যেই, প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরোনো। এই হাভেলি বা গেস্ট হাউসের পরিবেশে পাবেন প্রাচীনত্বের ছোঁয়া। এই হাভেলিতে অতিথিদের খুব ভালো ভাবে যত্ন করা হয়। এখানে কুইন ডিলাক্স এবং কিং সুপার ডিলাক্স ঘরের ব্যবস্থা আছে। ওয়েবসাইট http://www.jaisalmerdesert.com/। ফোন ০৭৫৬৮৪৫৫৬৫৬।
রূপনগড় ফোর্ট হোটেল, অজমের
যদি আপনি নির্জনতা চান, চান একটা প্রাচীন পরিবেশে বেশ গা ছমছমে ভাব, তা হলে ক’টা দিন থাকতেই পারেন অজমের শহরের কাছাকাছি সপ্তদশ শতকের চার তলাবিশিষ্ট রূপনগর ফোর্ট হোটেলে। ফোন ০৯৪১৪৬৭০১৯৩।
দ্য হিল ফোর্ট কেসরোলি, অলওয়র
কেসরোলি পাহাড়ের এই কেল্লাটি চতুর্দশ শতকের। সবুজ প্রকৃতির মাঝে রমণীয় সন্ধ্যা আপনাকে উপহার দেবে এই কেল্লা। অতুলনীয় এই সৌন্দর্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আপনার। ওয়েবসাইট https://www.neemranahotels.com/। ফোন ০৯৮২৯৪৯৯৯০১।
রামাথ্রা ফোর্ট, করৌলি
রনথম্ভোরের কাছেই পাহাড়ের ওপরে এই কেল্লা অবস্থিত। এই কেল্লা থেকে দেখা যায় কালিসিল নদীর উপত্যকা, ডাং মালভূমি। এই কেল্লার কাছেই আছে রামাথ্রা গ্রাম, যে গ্রামে বাস করেন এক আদিবাসী সম্প্রদায়, যাঁদের পেশা কৃষিকাজ আর পশুপালন। এই সাড়ে তিনশো বছরের পুরোনো কেল্লায় থাকার অভিজ্ঞতা সত্যিই আলাদা। ওয়েবসাইট http://www.ramathrafort.com/। ফোন ০৮৪৪৮২৮৫৩৫১।
পিরামল হাভেলি, শেখাবতী
এই ছোট্ট সুন্দর হাভেলিটি শেখাবতী অঞ্চলের বাগ্গরে অবস্থিত। এই হাভেলিটি রাজস্থানী এবং ইতালীয় শৈলীর মিশ্রণ। ১৯২৮ সালে এই হাভেলি তৈরি হয়েছিল। রয়েছে বিশাল খোলা বাগান, এবং দু’টি স্তম্ভের উপর দাঁড়ানো অঙ্গন যার গায়ে রয়েছে অসংখ্য ফ্রেস্কোর কাজ। ওয়েবসাইট https://www.neemranahotels.com/the-piramal-haveli-shekhavati-rajasthan/। ফোন ০৯৪১৪০৫০০৫৮।
আরও পড়ুন: সাত শতকের পাথুরে স্থাপত্য আর ভাস্কর্য নিয়ে অনন্য সৈকতশহর মহাবলিপুরম
বালসমন্দ লেক প্যালেস, জোধপুর
মান্ডোর ও মারোয়ার খুব কাছেই এবং জোধপুর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে এই লেক প্যালেস অবস্থিত। জোধপুরের মহারাজা যশবন্ত সিং সপ্তদশ শতকে এই প্রাসাদ তৈরি করেন। প্রায় ৬০ একর জায়গা জুড়ে এই প্রাসাদ, আছে ফলের বাগান, ল্যান্ডস্কেপ বাগান এবং সুচর্চিত লন। এই প্রাসাদে ২৬টি সুদৃশ্য বাগান-ঘর রয়েছে যাদের নিজস্ব লন, গোলাপ বাগান এবং রেস্তোরাঁ আছে। ওয়েবসাইট https://www.welcomheritagehotels.in/hotel-details/balsamand-lake-palace-jodhpur। ফোন ০২৯১২৫৭২৩২১।