ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: হিমালয়ের পাদদেশের একটা শহর। যেখানে সূর্যের আলো সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার সাদা চূড়ায় উপচে পড়ে। নীচের দিকে তাকালে মহানন্দা নদীর আঁকাবাঁকা পথ দেখা যায়। আরেক দিকে সবুজ চা বাগান। এমনই নানা স্মৃতি নিয়ে যাওয়া যায় শিলিগুড়ি শহর থেকে ফেরার সময়।
এমন ভাবেই পর্যটন মন্ত্রকের ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র প্রচারে প্রথম বার পরিচয় করানো হল শিলিগুড়ি শহরকে। তথ্য দিয়ে জানানো হল, শিলিগুড়ি থেকে কোথায় কোথায় ঘোরা যায়। উল্লেখযোগ্য জায়গা হিসাবে স্থান পেয়েছে হংকং মার্কেটও।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের নতুন তথ্য-সম্বলিত পুস্তিকা বা ‘বুকলেট’ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে তা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিদেশি অতিথি এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে। এ বার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দফতর, কাউন্টার, হোটেল বা রিসর্টে তা বাকি শহর বা রাজ্যের প্রচারের সঙ্গে থাকবে।
এত দিন শিলিগুড়ি শুধু ‘ট্রানজিট ডেস্টিনেশন’ হিসাবে পরিচিত ছিল। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে গন্তব্য হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক শিলিগুড়ির পরিচয় ঘটায়। এ বার ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র প্রচার শুরুর ২১ বছরে প্রথম বার নাম জুড়ল শিলিগুড়ির৷
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের এক সচিব বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি বরাবরই উত্তর-পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এর ‘ব্র্যান্ডিং’ বা শহরকে ঘিরে কী কী হতে পারে, তা নিয়ে প্রচার কম ছিল। জি২০ সম্মেলনের জন্যই শহরের নতুন পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। পুস্তিকা থেকে সমাজমাধ্যম— নানা ভাবে প্রচারে আসবে শিলিগুড়ি।’’
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়িকে বাণিজ্যিক শহর হিসাবে দেশে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ, নেপাল, চিন, ভুটানের সঙ্গে এখান থেকে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। শহরের মাথায় পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। সেখানকার চা বাগান, টয় ট্রেনের কথা সর্বজনবিদিত। এর সঙ্গে শিলিগুড়িতেই রয়েছে নানা আকর্ষণীয় জায়গা। শালুগাড়া গুম্ফা, করোনেশন সেতু, সেবক কালীমন্দির, মহানন্দা অভয়ারণ্য, বেঙ্গল সাফারি পার্ক, ইসকন মন্দির এবং হংকং মার্কেটের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি জায়গার তথ্য, বিশেষত্ব স্থান পেয়েছে পুস্তিকায়।