অতীতের ইন্দ্রাণী জনপদ। সেই জনপদের একাংশ ভাগীরথী তটে সিঙ্গি গ্রাম। এই গ্রাম বিখ্যাত হয়ে আছে মহাভারত বাংলা রচয়িতা কাশীরাম দাসের জন্মস্থানের জন্য। আজও এই গ্রামে এলে দেখা যায় কাশীরাম দাসের ভগ্ন ভিটা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘মহাভারত শুধু মহাকাব্যই নয়, ইতিহাসও। এ ইতিহাস বিশেষ ঘটনাবলীর উপর নয়, ভারতবর্ষের শাশ্বত ইতিহাস। ভারতবর্ষের সাধনা, আরাধনা ও সংকল্পের ইতিহাস। তাই কাশীদাসী মহাভারত মুদির দোকান থেকে রাজার প্রাসাদ পর্যন্ত সমভাবে চর্চিত।’
সিঙ্গি গ্রামে মহাকবি কাশীরাম দাসের জন্ম হয়। মহাভারতের বাংলা অনুবাদ করতে তার সময় লেগেছিল ১৫৯৫ সাল থেকে ১৬১৩ সাল। গ্রামের বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি কাশীরাম দাস এর নামাঙ্কিত স্মৃতি পাঠাগার আছে।

জন্মভিটে দেখতে সারা বছর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন। গ্রামের বাসিন্দারা বহু যত্ন করে এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কেউ গেলে তারাই পথ দেখিয়ে নিয়ে যান। জন্মভিটাতে এক কুঠুরি দেখা যায়। বলা হয় এখানে বসেই তিনি মহাভারত অনুবাদ করেছিলেন।
বর্তমানে অবহেলায় পড়ে এই জন্মস্থান। সাধারণ মানুষ উপযুক্ত সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। যথার্থ সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে। অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে পুরনো স্থাপত্যের প্রমাণ।
কিভাবে যাবেন : হাওড়া থেকে ট্রেনে কাটোয়া স্টেশন। সেখান থেকে সিঙ্গি গ্রাম ১৪ কিলোমিটার। গাড়ি বা টোটো বুক করে সিঙ্গি গ্রাম ঘুরে নিন।