ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: এক দিকে মহানন্দা অভয়ারণ্যের জঙ্গল। পাশে ছোট্ট গুলমা রেল স্টেশন। মাঝ দিয়ে কুলকুল করে বয়ে চলেছে মহানন্দা এবং গুলমাখোলা নদী। দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে পাহাড়। প্রায়ই পাশের জঙ্গলে হাতি, চিতাবাঘের সঙ্গে দেখা মেলে নানা পাখি, কীটপতঙ্গ-সহ নানা বন্যজন্তুর। নিস্তব্ধ, শান্ত এই পরিবেশে সময় কোথা দিয়ে চলে যায় তা টের পাওয়াই দায়।
শিলিগুড়ির উপকন্ঠে হওয়ার ফলে কিছুটা যেন ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’ গোছের একটা ব্যাপার গুলমার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু একটা দিন শান্তিতে থাকতে চাইলে এই জায়গাটি আদর্শ। গুলমার অন্যতম আকর্ষণ তার একাকী রেলস্টেশন। হাতিদের করিডোর হওয়ার ফলেই মাঝেমধ্যে হাতিমৃত্যুর খবর শোনা যায় এই গুলমা স্টেশনকে কেন্দ্র করেই।
এখানে থাকার জায়গাটিও অনন্য। চা বাগান ও মহানন্দা অভয়ারণ্যের কোলে খয়রানি বস্তিতে অবস্থিত শান্তির নিবাস হামরো হোম। দিনের বেলা থেকে রাতটা যেন এখানে আরও বেশি মায়াবী। আর সেটা যদি পূর্ণিমা বা তার আশেপাশের কোনো দিন হয় তা হলে তো কথাই নেই। পুরো চত্বরটিই যেন ঢেকে যাবে রুপোলি চাদরে। দূরে পাহাড়ে কার্শিয়াং শহরটি দেখে মনে হবে এক ঝাঁক জোনাকি। এরই মধ্যে খেয়াল করবেন নির্জনতা ভঙ্গ করে ছুটে যাচ্ছে ট্রেন। সে চলে গেলে আবার চারি দিক চুপচাপ।
আরও পড়ুন স্বল্পচেনা উত্তরবঙ্গ: মেঘ পিওনের মাহালদিরাম
গুলমায় থেকেই ঘুরে আসতে পারেন রংটং। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে অপূর্ব সুন্দর একটি স্টেশন এই রংটং। শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের কাছে খানিক নিঃশ্বাসের জায়গা। তবে কোথাও না গিয়েও একটা গোটা দিন কাটিয়ে দিতে পারেন গুলমায়, প্রাণ ভরে নিতে পারেন অক্সিজেন।
কী ভাবে যাবেন
প্রথমে পৌঁছোতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দরে। ট্রেনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেখে নিন erail.in-এ। এনজেপি থেকে গুলমা মাত্র ১৭ কিমি। শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে মাত্র ১২ মিনিটের লোকাল ট্রেনযাত্রায় পৌঁছে যেতে পারেন গুলমা।
কোথায় থাকবেন
এখানে থাকার একমাত্র এবং সব থেকে ভালো জায়গাটি হল হামরো হোম রিসর্ট। গুলমা স্টেশন থেকে ১ কিমি দূরে চাষের জমির মাঝখানে অবস্থিত এই রিসর্ট। যোগাযোগ করার জন্য লগইন করুন হামরো হোমের ওয়েবসাইটে (www.humrohome.com)।