বছরের প্রথম দিন অঙ্গরাগের পর ফের ভক্তদের সামনে আসেন ধামেশ্বর মহাপ্রভু

ধামেস্বর মহাপ্রভু

নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ২৪ বছর অতিবাহিত করেছিলেন। তিনিই গৌরচন্দ্র, আবার তিনি বিষ্ণুপ্রিয়ার প্রাণনাথ নদিয়াবিহারী।

বৈষ্ণব কবিদের বিবরণ থেকে জানা যায়, “নবদ্বীপ সম্পত্তি কে বর্ণিবারে পারে, একো গঙ্গা ঘাটে লক্ষ লোক স্নান করে।” এই ধাম ছিল এক বৈষ্ণবতীর্থ। মহাপ্রভুর সম্পূর্ণ লীলা দ্বারা বেষ্টিত।

ষোড়শ শতকের বাঙালির নবজাগরণের পথিক শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। এই নবদ্বীপের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ হল ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দির। সিংহদরজা পেরিয়ে প্রভুর মন্দিরে আজও সেবা হয়ে চলেছে।

বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ধামেশ্বর মহাপ্রভুর বিগ্রহ নিজে সেবা করতেন। যে নিমগাছের তলায় মহাপ্রভুর জন্ম হয়েছিল সেই কাঠ দিয়ে দারু বিগ্রহটি তৈরি হয়। মন্দিরে আছে মহাপ্রভুর পাদুকা। ধামেশ্বর মহাপ্রভুর বিগ্রহটি নির্মাণ করেছিলেন বংশীবদন নামের এক শিল্পী। এই বছর মহাপ্রভুর অঙ্গরাগ।

প্রাচীন এই বিগ্রহের অঙ্গরাগ করেন বাবলু চক্রবর্তী মহাশয়। তিনি হলেন বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর বংশধর। প্রতি দু’বছর পর হয় এই নিয়ম। এই ক’দিন পুরনো ইঁটের দেউল মন্দিরে নিত্যপুজো হয়। চিত্রপটে সেবা করা হয়। পুরনো মন্দিরটি বহু প্রাচীন। শিখর দেশটি রেখদেউল আকারে। বীর হাম্বির এই মন্দির নির্মাণ করে দেন।

মহাপ্রভুর অন্তিম দর্শনের পর সকল নবদ্বীপবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন। ভক্তদের মন খারাপ। পয়লা জানুয়ারি প্রভু নব রূপে আসবেন। এই দিন উৎসব ঘিরে মেতে উঠবে চৈতন্যভূমি।

কী ভাবে যাবেন

হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে কাটোয়া লোকাল আসুন নবদ্বীপ স্টেশন। সেখান থেকে টোটো বা রিক্সায় ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দির। কিংবা সরাসরি গাড়িতে চলে যেতে পারেন। কলকাতা দিল্লি রোড হয়ে ব্যান্ডেল, তার পর মগরা-কালনা-সমুদ্রগড় হয়ে নবদ্বীপ, দূরত্ব ১১৯ কিমি কিংবা মধ্যমগ্রাম-বারাসত-রানাঘাট- কৃষ্ণনগর হয়ে নবদ্বীপ, দুরত্ব ১৩৩ কিমি।

আরও পড়ুন। কলকাতাকে চিনুন: প্রাচ্যবিদ জেমস লং সাহেবের গির্জা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top