কাশী মোক্ষপুরী। এই স্থানের মাহাত্ম্যে শুধুই পুণ্য ও ধর্ম। শিব নিজের ত্রিশূলে সমস্ত কাশীকে ধরে রেখেছেন।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার মথুর বাবুকে সঙ্গে নিয়ে কাশীধামে এসেছিলেন। তখন মণিকর্ণিকা ঘাটের শ্মশান দেখে বলেছিলেন, দেখিলাম পিঙ্গলবর্ণ জটাধারী দীর্ঘাকার এক শ্বেতকায় পুরুষ গম্ভীর পাদবিক্ষেপে শ্মশানে প্রত্যেক চিতার পার্শ্বে আগমন করিতেছেন এবং প্রত্যেক দেহীকে সযত্নে উত্তোলন করিয়া তাহার কর্ণে তারক ব্রহ্মমন্ত্র প্রদান করিতেছেন!

দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কাশীর বিশ্বেশ্বর। জ্ঞানবাপী কথার অর্থ জ্ঞানের কূপ। যেখানে জ্ঞানের আবাস।
প্রাচীন গ্রন্থ থেকে জানা যায় কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী কূপে স্নান করে বাহন নন্দীকে পুজো দিয়ে তারপর শিবের পুজো হওয়ার রীতি ছিল।

জানেন কি, ভারতে অসংখ্য শিব মন্দির আছে। সব মন্দিরে শিবের দিকে মুখ করা থাকে নন্দীর। কিন্তু কাশীতে জ্ঞানবাপী কূপের দিকে মুখ বাহন নন্দীর। এক অতি আশ্চর্য ব্যাপার।
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব শোনা যায় এই কূপের ওপর ইন্দো ইসলামিক স্থাপত্যের জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেন। সেই সময় মুঘল বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। পরবর্তীতে ইন্দোরের রানি অহল্যা বাই এই স্থানের ব্যাপক সংস্কার করেন। সম্প্রতি পুণ্যভূমি কাশীর জ্ঞানবাপী মামলা নিয়ে সারা দেশ উত্তাল হয়েছে। আদালত হস্তক্ষেপ করেছেন গোটা বিষয়টিতে।