উইকএন্ডে ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক স্থান পলাশী

কলকাতা থেকে পলাশীর দূরত্ব ১৬০ কিমি। ঘুরে আসুন নদীয়ায় পলাশীর সেই প্রান্তর থেকে।

১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন, রবার্ট ক্লাইভের বাহিনীর সামনে নবাব সিরাজদ্দৌলার পঞ্চাশ হাজার সেনা। নবাবের নিশ্চিত জিত শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কে ভরসা দেবে?

“বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপনা, জাতির সূর্য্য আজ, অস্তাচলগামী..”

পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের বিরুদ্ধে চক্রান্তে সেদিন নবাব হেরে গেলেন। কিন্তু তারসঙ্গে গোটা ভারতবর্ষের চিত্রটাই বদলে গিয়েছিল।

কি দেখবেন:
আছে সেদিনের সেই আম বাগান, যেখানে যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। একটি ১৫ মিটার উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। ব্রিটিশরা এই বিজয় স্তম্ভটি নির্মাণ করেছিলেন। নাম পলাশী ওয়ার মেমোরিয়াল। তবে বেশিরভাগ ঐতিহাসিক চিহ্ন আর কিছুই তেমন অবশিষ্ট নেই। স্তম্ভটির পাশে আরেকটি ছোট স্মৃতিস্তম্ভ চোখে পড়ে। পলাশীর যুদ্ধের ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বসানো হয়। আর আছে বাংলার স্বাধীন নবাবের একটি আবক্ষ মূর্তি। নবী সিং হাজারী, বাহাদুর খান ও সেনানায়ক মীর মদনের স্মৃতিসৌধ পলাশীর প্রান্তরে আছে। এখানেই ইংরেজদের সঙ্গে মীর মদন বীরের মতো লড়াই চালিয়ে শহীদ হন। ঘুরে দেখুন ব্যাটল ফিল্ড অফ পলাশি। রোমাঞ্চিত হবেন।

কিভাবে যাবেন:
নদীয়ার শেষ স্টেশন পলাশী। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে লালগোলা বা হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেসে পলাশী স্টেশন নামুন। স্টেশন থেকে নেমে টোটো করে পলাশী তোরণ পেরিয়ে চলে আসুন গন্তব্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *