অতীতে ইতালিতে নবজাগরণের হাওয়ায় শিল্প প্রাণ ফিরে পায়। তাই বলাই যায় শিল্পের জন্য শিল্প। বালু শিল্প বা স্যান্ড আর্ট এক চমৎকার শিল্প মাধ্যম। ভারতের বহু শিল্পী বালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সব ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। সমুদ্রের পাড়ে আমরা ঘুরতে গেলে এমন ভাস্কর্যগুলো দেখতে পাই। ওড়িশার শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়কের বালু শিল্প বিশ্বের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
বছরের শুরুতে বকখালির সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে ‘আর্ট উইন্ড’ নামে একটি কার্নিভাল।
বকখালি আর্ট কার্নিভাল ২০২৪-এর এই অনুষ্ঠানে বহু শিল্পী বালির ভাস্কর্য তৈরি করেছেন বকখালির সমুদ্রসৈকতে। বিশাল সাইজের মাছ, কাকড়া, শামুক ইত্যাদি সামুদ্রিক প্রাণী বালি দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
সামুদ্রিক প্রাণীরা বেঁচে থাকার জন্য সমুদ্রের ওপর নির্ভর। তাদের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। অত্যধিক দূষণ ঠেকানোর প্রয়োজন আছে। সমুদ্রের সামগ্রিক পরিবেশ উন্নত করতে হবে। তার ফলে সামুদ্রিক প্রাণীর ওপর যে সকল রোগ ছড়িয়ে পড়ছে তার বিস্তার কমবে।
পরিবেশের সচেতনতার জন্যই বকখালির সমুদ্রসৈকতে বালির ওপর ৩০ জন শিল্পী বালি দিয়ে ভাস্কর্য বানালেন।
সাধারণ মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছোবে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিন দিন এই প্রদর্শন চলবে। সমুদ্রসৈকতে বহু পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন বালু শিল্প দেখার আগ্রহে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পর্যটক দেখতে আসছেন আর্ট কার্নিভালটি।