ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর ললনা লক্ষ্মী সায়গল। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সেনানায়িকা।
লক্ষ্মী সায়গল আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে যোগ দেন দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে। এরপর সিঙ্গাপুরে সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে সাক্ষাৎ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি জীবনকে উৎসর্গ করলেন।
২৩ জানুয়ারি, আসছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন বা পরাক্রম দিবস। তবে জানেন কি, নেতাজি আজাদ হিন্দ বাহিনীর নারী বিভাগের ভার তুলে দেয় লক্ষ্মী সায়গলের ওপর।
সায়গল মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু শরণার্থীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
১৯৪৩ সালে আন্দামানের পোর্টব্লেয়ারে ভারতের সর্বাধিনায়ক নেতাজি পতাকা উত্তোলন করলেন। পতাকা উত্তোলনের পর গাওয়া হলো একটি গান।
‘শুভ সুখ চৈন কি বরখা বারসে’
গানটি ছিল আজাদ হিন্দ সরকারের জাতীয় সংগীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ভারত ভাগ্য বিধাতা অবলম্বনে লেখা হয়েছিল। সেদিন এই গান লক্ষী সায়গল ও তাঁর সহকর্মীদের সমবেত কন্ঠে গাওয়া হয়। মাদ্রাজি স্টুডিওতে পরে এই গান রেকর্ড করা হয়। গানটি গেয়েছিলেন লক্ষী সায়গল। ভারতীয়দের কাছে সেই রেকর্ডটি খুব বড় সম্পদ।