শান্ত বালুতট, পাখির কিচিরমিচির, সারি দিয়ে ঝাউবন, সমুদ্রের ঢেউ দেখে অস্থির হয়ে উঠতে পারেন। নিঃশব্দে বুঝবেন, আপনি প্রকৃতির প্রেমে পড়েছেন। এমন জায়গা খুব দূরে নয়। কলকাতার খুব কাছেই। পূর্ব মেদিনীপুরের বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত।
উইকেন্ডে বঙ্গোপসাগরের তীরে বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত একদিনেই বেরিয়ে আসতে পারেন। চাইলে একটি বা দুটি দিন থাকতে পারেন। কাছেই কাঁথিতে পছন্দমত হোটেল পেয়ে যাবেন।
নির্জন সৈকত সুন্দরী কংক্রিটের জঙ্গল থেকে মুক্তি দেবে। বালুতটে লাল কাঁকড়া ও ঝিনুক দেখে সময় যেন কিভাবে কেটে যায়। নির্জন এই দ্বীপ মনকে প্রশান্তি দেয়।
সুবিশাল নিরিবিলি বালুতটে শীতের রোদ গায়ে মেখে অবসর যাপন প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য উপযুক্ত। বাঁকিপুটে আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান। ব্রিটিশ আমলের লাইট হাউস। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিধন্য কপালকুণ্ডলা মন্দির। এই মন্দিরে তিনি কাহিনীর পটভূমি ভেবেছিলেন। এককথায় বাঁকিপুট সর্বদা মনোরম।
কিভাবে যাবেন :
তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস বা অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনে চলে আসুন কাঁথি স্টেশন। সেখান থেকে টোটো নিয়ে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে বাঁকিপুট সৈকত। সড়কপথে এলে কোলাঘাট হয়ে কাঁথি মোড় ধরে বাঁকিপুট আসতে হবে।