ঝাড়গ্রামের চিলকিগড় রাজবাড়ি। ডুলুং নদীর ধারে চিলকিগড় এক কথায় ছবির মত সুন্দর।
চিলকিগড়ের অন্যতম আকর্ষণ কনকদুর্গা মন্দির ও রাজবাড়ি। রাজবংশের কুলদেবতা কালাচাঁদ মন্দির এখানকার আরেকটি আকর্ষণ। নয় রত্ন বিশিষ্ট কালাচাঁদ মন্দির।
ডুলুং নদীর ধারে কনকদূর্গা মন্দির অনন্য স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করছে। মন্দিরকে ঘিরে আছে এক প্রাচীন অশ্বত্থ গাছ। গোপীনাথ সিংহ দ্বারা চিলকিগড়ের রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠা পায়। তিনিই কনকদুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
কনকদুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আছে একটি ঔষধি গাছের জঙ্গল। কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিস্মৃত ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা অঞ্চলটি।
প্রাচীন এই রাজবাড়ি এতদিন পর্যটকরা বাইরে থেকে দেখেই ফিরে আসতেন। ভেতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। তবে এই প্রথম এবার অন্দরমহলে থাকবার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। পাঁচটি ঘর রাত্রিবাসের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ প্যালেস অতিথিশালা চালু করা হয়েছে। তাই শীতের সময় ছুটিতে সেরা গন্তব্য হতে পারে চিলকিগড়।
কি কি দেখবেন : পাহাড়ি ডুলুং নদী। নদী দেখে পায়ে হেঁটে দেখে নিন কনক দূর্গা মন্দির। রাধাকৃষ্ণের নবরত্ন কালাচাঁদ মন্দির।
কিভাবে যাবেন : হাওড়া থেকে ট্রেনে ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসুন চিলকিগড়।
রাজ প্যালেসের বুকিং নাম্বারটি হল,
৭০০১৮৪৬৮৩৯/৭০২৯৫৯১২৪৭