গন্তব্য

ঘুরে আসুন রাজ্যের বারোটি শৈব তীর্থ,পর্ব ৫

পর্ব ৫

অম্বিকা-কালনার ১০৮ মন্দির:

পূর্ব বর্ধমান জেলার অম্বিকা-কালনা। এখানে রাজবাড়ির চত্বরে আছে নবকৈলাস একশো আট শিব মন্দির। বর্ধমানের মহারাজ তেজচন্দ্র বাহাদুর একশো আট শিব মন্দির নির্মাণ করেন। বর্ধমান মহারাজের বহু কীর্তি চির-উজ্জ্বল হয়ে আছে।

অম্বিকা-কালনার নবকৈলাস একশো আট শিব মন্দিরে আছে এক আশ্চর্য ব্যাপার। শুনলে অবাক হবেন আপনিও। কি জানেন? বৃত্তের ভেতর দাড়িয়ে একজন ব্যক্তি একসঙ্গে তিনটির অধিক শিবলিঙ্গ দেখতে পান না।

একশো আট মন্দির বৃত্তের বাইরে আছে ৭৪টি মন্দির। ভিতরের বৃত্তে আছে ৩৪টি মন্দির। মধ্যেকার অংশে আছে একটি গোলাকার জলের কুয়ো। যা মন্দিরের প্রয়োজনে ব্যাবহার করা হয়।

মন্দিরের গঠন আটচালা আকারের। বিশেষ পুজো পার্বণ ঘিরে বহু মানুষের সমাবেশ হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে শিবরাত্রি উপলক্ষে উৎসবের ধুম পড়ে।

কলকাতার মোটা মহাদেব:

কলকাতার নিমতলায় দুর্গেশ্বর মহাদেব। আটচালা মহাদেবের মন্দিরের বয়স দুশো বছর ছাড়িয়ে গেছে। চেহারায় বিশাল আকারের জন্যে সকলে দুর্গেশ্বর শিবকে মোটা মহাদেব নামে ডাকেন। হাটখোলার দত্ত পরিবার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

মন্দিরটি নিয়ে আছে এক আশ্চর্য ইতিহাস। অতীতে মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যেতো গঙ্গা। সেই গঙ্গার জলের স্রোতে শিবলিঙ্গটি নিজের স্থান পরিবর্তন করত। তাই তাকে লোহার শিকলে বেঁধে রাখা হতো। বর্তমানে গঙ্গা বেশ খানিকটা দূরত্বে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।

দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ মোটা মহাদেব। মন্দিরের মাথা থেকে বটের ঝুড়ি নেমে এসেছে। প্রতিদিন প্রচুর ভক্ত দর্শন করতে আসেন। হর হর মহাদেব রব ওঠে। ভক্তি ভরে পুজো দেন মন্দিরে।

(শেষ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *