ভ্রমণের খবর

পুজোর মুখে জোড়া সুখবর, খুলছে উত্তর সিকিমের পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল ভাড়ায় জিএসটি ছাড়ে সস্তা হবে ভ্রমণ

পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য এ যেন জোড়া সুখবর। তিন মাস পর সোমবার থেকে খুলে গেল উত্তর সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র লাচুং, ইয়ুমথাং এবং জিরো পয়েন্ট। তবে এখনই খোলা হচ্ছে না লাচেন ও গুরুদংমার লেক। ভয়াবহ বন্যা ও ধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে উত্তর সিকিম কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পর্যটনের জন্য। তিন মাসে ক্ষয়ক্ষতি সামলে ফের নতুন রূপে সাজিয়ে পর্যটকদের জন্য এই স্থানগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম সরকার।

রবিবার গ্যাংটকে সিকিম পর্যটন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সিএস রাও সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগের মতো অনলাইনে পর্যটক পারমিট ইস্যু করা হবে। তবে কিছু শর্ত মানতে হবে। যেমন, লাচুং যাওয়ার পথে দুপুর একটার মধ্যে সাংকালান সেতু পার করতে হবে এবং ফেরার পথে দুপুর দু’টোর মধ্যে পার হতে হবে টুং সেতু। পর্যটকদের চাপ সামলাতে উত্তর সিকিম সফরে দু’ রাত-তিন দিনের প্যাকেজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি পুজোর আগে হোটেল ভাড়ায় জিএসটি ছাড় পর্যটকদের জন্য আরও বড় স্বস্তি এনে দিচ্ছে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক সাড়ে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল ভাড়ায় জিএসটি কমে যাচ্ছে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে। এতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

উত্তরের পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, “লাচুং, ইয়ুমথাং ও জিরো পয়েন্ট খোলায় পুজোর আগে পর্যটকের ঢল নামবে।” অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু জানান, “হোটেল ব্যবসায়ীরা সরকারি সুবিধা পেলে রুম ভাড়া আরও সস্তা হবে। ফলে পর্যটনে আমরা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারব।”

ডুয়ার্সে ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। লাটাগুড়ি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব আশাবাদী যে, জিএসটি ছাড়ের ফলে আরও বুকিং বাড়বে এবং পর্যটন খাত চাঙ্গা হবে।

আরও পড়ুন: পুজো পরিক্রমা: বনেদি বাড়ি থেকে উত্তর কলকাতার মণ্ডপ— ভলভো বাস ও লঞ্চে ঘুরে দেখুন দুর্গোৎসবের রূপকথা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *