ভ্রমণের খবর

পাঁচ বছর পর আবার শুরু কৈলাস-মানসরোবর যাত্রা, নাথুলা দিয়ে প্রথম দল যাচ্ছে ১৫ জুন

পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত কৈলাস-মানসরোবর যাত্রা। আগামী ১৫ জুন (রবিবার) গ্যাংটকে পৌঁছবেন প্রথম পুণ্যার্থী দল, যাঁদের সংখ্যা ৫০। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ জুন তাঁরা নাথুলা পাস অতিক্রম করে প্রবেশ করবেন তিব্বতের পথে।

এই পবিত্র যাত্রা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০২০ সালে, ডোকলাম ও গালওয়ান সংঘাতের প্রেক্ষিতে ভারত-চীন সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং করোনা মহামারীর কারণে। যদিও গত বছর চিনের পক্ষ থেকে কঠোর শর্তসাপেক্ষে পুনরায় যাত্রার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে খরচ বৃদ্ধির ফলে তা ভারতীয় পুণ্যার্থীদের নাগালের বাইরে চলে যায়। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও ইতিবাচক বার্তা মিলেছে।

সিকিম পর্যটন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সি এস রাও জানিয়েছেন, যাত্রাপথে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম থাকবে একাধিক পয়েন্টে। প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবেন সিকিম সরকারের দুই প্রতিনিধি, যাঁরা যাবতীয় সহায়তা করবেন। ১৫ জুন প্রথম দলটিকে স্বাগত জানাতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।

সূত্রের খবর, এবছর নাথুলা রুটে ৫০ জন করে মোট ১০টি দল এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস দিয়ে ৫০ জন করে ৫টি দল কৈলাস-মানসরোবর যাত্রায় অংশ নেবে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই যাত্রা।

নাথুলা থেকে মানসরোবর পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার কিমি পথ। এই রুটে ৩৫ কিমি ট্রেক করতে হয়, যা তুলনামূলকভাবে সহজ। কৈলাস যাত্রার মধ্যে ৫২ কিমির ট্রেক রয়েছে, যা পেরোতে লাগে তিন দিন। নাথুলা রুটে পূর্ণ যাত্রার জন্য সময় লাগে ২১ দিন, যেখানে লিপুলেখ রুটে সময় লাগে ২২ দিন।

উন্নত সড়ক পরিকাঠামো এবং বরফমুক্ত পরিবেশের কারণে নাথুলা রুট পুণ্যার্থীদের জন্য অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছন্দ। ফলে বহু পুণ্যার্থীর আশা—এবারের কৈলাস-মানসরোবর যাত্রা হয়ে উঠবে নির্বিঘ্ন ও পূর্ণতৃপ্তির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *