শীতে ছুটি কাটানোর পর্যটকদের আকর্ষণ টাকিতে মিনি সুন্দরবন
শীতের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে টাকি। আর পিকনিকের আদর্শ স্পট। অফিস বা শুধু শুধু ঘরবন্দি না থেকে টুক করে দুদিনের জন্য ঘুরে আসুন।
ইছামতীর জলে নৌকা ভেসে চলেছে। কারও মাথায় ভারতের পতাকা আবার কয়েকটি বাংলাদেশের। ইছামতীর অপর দিকটা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা। আর এ পারে টাকি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ইছামতী নিয়ে লিখেছিলেন, বর্ষার দিনে এই ইছামতীর কূলে কূলে ভরা ঢল ঢল রূপে সেই অজানা মহাসমুদ্রের তীরহীন অসীমতার স্বপ্ন দেখতে পায় কেউ কেউ.. কত যাওয়া আসার অতীত-ইতিহাস মাখানো ওই সব মাঠ ওই সব নির্জন ভিটের ঢিপি কত লুপ্ত হয়ে যাওয়া মায়ের হাসি ওতে অদৃশ্য রেখায় আঁকা।
মনোরম এই পর্যটনকেন্দ্রের এক আকর্ষণ মিনি সুন্দরবন। ইউনেস্কো টাকিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। গোলপাতার জঙ্গল বা মিনি সুন্দরবন ঘুরে দেখেন পর্যটকরা। বাবলা, শিরীষ, সুন্দরী, কেওড়া সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এই জঙ্গলে আছে। শীতের নরম রোদ গায়ে মেখে ইছামতী সংলগ্ন মিনি জঙ্গলটিতে পাখির ডাক এখানকার বড় আকর্ষণ।

টাকির আরেকটি ঐতিহ্য হল পুবের বাড়ি। ৩০০ বছরের শোভামণ্ডিত পুরনো দালান আজও এই বাড়িতে আছে। স্থানীয় জমিদার রায়চৌধুরীদের দুর্গাপুজো টাকির অন্যতম আকর্ষণ। টাকি রাজবাড়ি ঘাটে প্রথম রায়চৌধুরীদের পুজোর বিসর্জন হয়। আগে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে জমিদারবাড়িটি দেখা যেত। বর্তমানে সারা বছরের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
কী ভাবে যাবেন
শিয়ালদা থেকে ট্রেনে টাকি রোড স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো বা অটোতে টাকি যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে টাকির দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। সংরক্ষিত গাড়িতে গেলে তিন ঘন্টা মতো সময় লাগে।
কোথায় থাকবেন
টাকিতে বেশ কিছু হোমস্টে আছে। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন-এর ওয়েবসাইট www.wbtourism.gov.in/home-stay সার্চ করলে এদের সন্ধান পেয়ে যাবেন।
এ ছাড়াও টাকিতে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল আছে। গুগুল সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।
টাকি পুরসভার গেস্ট হাউস আছে। যোগাযোগ: ০৩২১৭ ২৩৩৩২৮।