তাজ তাল কুটিরে উপকূলের স্বাদ! কলকাতায় ‘গোয়া হাই-টি সোয়ারি’ ও ‘পন্ডিচেরি–অ্যা স্টোরি অন দ্য প্যালেট’ আয়োজন
ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: কলকাতার ইকো পার্কের ধারে অবস্থিত শান্ত ও সবুজে মোড়া তাজ তাল কুটির নিয়ে এসেছে এক অনন্য খাদ্য উৎসব। ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের ঐতিহ্য ও রন্ধনশৈলীর মেলবন্ধনে আয়োজন করা হয়েছে দুই বিশেষ অনুষ্ঠান — ‘গোয়া হাই-টি সন্ধ্যা’ এবং ‘পন্ডিচেরি – রসনায় এক গল্প’।
এই উৎসব চলবে ২ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। অতিথিরা এখানে উপভোগ করতে পারবেন উপকূলের স্বাদ, ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনন্য সংমিশ্রণ।

গোয়া হাই-টি সন্ধ্যা (লেক ভিউ লাউঞ্জে)
ইকো পার্ক লেকের নীরব সৌন্দর্যের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে গোয়া-প্রাণিত বিকেলের এই আড্ডা ও চা-পর্ব।
গোয়ার উষ্ণ প্রাণস্পর্শী আবহে, লেকের জলের ছলাৎ-ছলাৎ সুরে মিলবে রন্ধনশিল্পের এক নতুন রূপ।
এখানে অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন —
কাফরিয়েল চিকেন স্যান্ডউইচ, কাটলেট পাও, ভাজি পাও, রস অমলেট, মাশরুম পটেটো চপ, কাফরিয়েল গ্রিলড ব্রোকলি, গোয়া চিকেন পাই, রেচিয়াদো ভেটকি, নারকেল ক্যারামেল কাস্টার্ড এবং আরও নানা সুস্বাদু পদ।
তারিখ: ২ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত
সময়: বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে ৬টা পর্যন্ত
মূল্য: ₹১২৫০ (কর প্রযোজ্য)

পন্ডিচেরি – রসনায় এক গল্প (দ্য ভেরানডা)
এখানে অতিথিদের জন্য অপেক্ষা করছে পন্ডিচেরির উপনিবেশিক ইতিহাস ও রন্ধন ঐতিহ্যের মিলন।
ফরাসি রন্ধনশৈলীর সূক্ষ্মতা ও তামিল রান্নার দেশজ স্বাদে গড়ে উঠেছে এই আয়োজন।
মেনুর প্রতিটি পদ বলবে একেকটি গল্প — সংস্কৃতি, মানুষ ও উপকূলের সুবাসে গাঁথা ইতিহাসের গল্প।
অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন —
কেশর বাটারনাট স্কোয়াশ, কুঝি পনিয়ারম, কাটলেট কাভাপু, চিকেন ললিপপ আ লা ফ্রাঙ্কো, চিকেন কারি আ লা ক্রিওল, মাটন পেপার মাসালা, উপকূলীয় ফরাসি মাছের তরকারি, ক্রিওল কাঁকড়ার কারি, পন্ডিচেরি চিংড়ির কারি এবং আরও অনেক পদ।
তারিখ: ২ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত
মূল্য: মেনু অনুযায়ী (আ লা কার্ট)
তাজ তাল কুটিরের মহাব্যবস্থাপক সুমিত সিং দেওল বলেন, “তাজ তাল কুটিরে আমরা শুধু খাবার পরিবেশন করি না — আমরা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভারতীয়তার গল্প বলি। ‘গোয়া হাই-টি সন্ধ্যা’ ও ‘পন্ডিচেরি – রসনায় এক গল্প’-এর মাধ্যমে আমরা অতিথিদের সামনে দুই উপকূলের স্বাদ ও অনুভূতি তুলে ধরতে চাই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই আয়োজন কেবল রন্ধন উৎসব নয়, এটি ভারতের উপকূলীয় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌন্দর্যের এক মেলবন্ধন।”
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের প্রথম ব্যাঘ্র সাফারি প্রকল্প চালু হতে চলেছে বেতলা জাতীয় উদ্যানের কাছেই