ঝাড়খণ্ডের প্রথম ব্যাঘ্র সাফারি প্রকল্প চালু হতে চলেছে বেতলা জাতীয় উদ্যানের কাছেই
ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: প্রথম ব্যাঘ্র সাফারি প্রকল্প চালু করতে চলেছে ঝাড়খণ্ড। রাজ্যে বন্যপ্রাণ পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং সংরক্ষণ উদ্যোগ সফল করাই সাফারি প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্য। ঝাড়খণ্ড সরকারের এক আধিকারিক এই খবর দিয়েছেন।
প্রস্তাবিত ব্যাঘ্র সাফারি প্রকল্প নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করা হয়। গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রাঁচিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে এই প্রেজেন্টেশন পর্যালোচনা করেন।

ছবি সৌজন্যে latehartourism.com।
প্রেজেন্টেশন পর্যালোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সুদিব্য কুমার সোনু। তিনি বলেন, “সাফারি প্রকল্পের জন্য যে জায়গাটি বাছা হয়েছে, তা বেতলা জাতীয় উদ্যানের একেবারে কাছেই। নেতারহাট এবং বেতলা থেকে কেচকি এবং মন্ডল ড্যাম পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের যে পরিবেশ-পর্যটন সার্কিট বিস্তৃত, সেখানেই ওই সাফারি প্রকল্পের জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে।”
সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের জন্য জমি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংক্রান্ত যে সব বিধিনিয়ম রয়েছে, সে সব মেনেই প্রকল্পের উন্নয়নের কাজ হবে। সাফারি চালু হলে পর্যটনে জোয়ার আসবে এবং পরিবেশ-বান্ধব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষজনের জীবিকার বিকল্প পথ খুলে যাবে।
এই সাফারি প্রকল্প চালু হলে ভারতের বন্যপ্রাণ পর্যটন মানচিত্রে ঝাড়খণ্ড গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেবে। পর্যটকরা প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঘ-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন, যা ঝাড়খণ্ডে আগে কখনও পাওয়া যায়নি।