বর্ষার পাহাড়ে দুরন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা, মুগ্ধ ভ্রামণিকরা
শ্রয়ণ সেন
ভাগ্যিস ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম দিয়েছিলাম, নইলে স্বর্গীয় অনুভুতি থেকে বঞ্চিতই থাকতাম!
হোমস্টের ঘরের বাইরে এসে উত্তরপশ্চিম দিকে তাকাতেই দেখি তিনি দাঁড়িয়ে আছেন।একদম স্বপার্ষদ। সঙ্গে সঙ্গে বাকিদের ডাকলাম। ঘোর বর্ষায় এই দৃশ্য দেখা যাবে কেউ ভাবতেও পারেননি, তাই ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠার দরকার ছিল না এমনিতে।
তার পরের কয়েক ঘণ্টা যা হল, কল্পনাতীত। কুয়াশা আর মেঘের আস্তরণ সরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্দান্ত ভাবে দেখা দিয়েছে। আর সেই দেখে মুগ্ধ ভ্রামণিকরা।

ফিক্কালেগাঁও হোমস্টে থেকে।
আপাতত আমরা রয়েছি ফিক্কালেগাঁওয়ে, কালিম্পং থেকে ১০ কিলোমিটার। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে এখনও সে ভাবে জায়গা করে নেয়নি। তার ওপর, এটা আবার পর্যটনের মরশুম নয়। বর্ষাকাল, অফসিজন। পাহাড় কার্যত পর্যটকশূন্য। তাই আমাদের এই হোমস্টে ছাড়া কোথাও কোনো পর্যটক নেই। গোটা গ্রাম জুড়ে আমাদেরই হইহল্লা ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ব্যতিক্রমী ভ্রমণে বিশ্বাস করি আমি। সেই কারণেই ১৪ জন ভ্রমণসঙ্গীকে নিয়ে এই বর্ষায় পাহাড়ে এসেছি। আর এই ভ্রমণসঙ্গীদের সবাই পঞ্চাশোর্ধ। আর সব থেকে প্রবীণ মানুষটির বয়স ৮৪। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখে শিশুর মতো সেই মানুষটির আনন্দও যেন বাঁধ মানে না।

ছবি তুলতে ব্যস্ত ভ্রামণিকরা।
বর্ষার পাহাড় মানে বৃষ্টিই সর্বক্ষণ। সেই বৃষ্টি দেখারও একটা মজা রয়েছে। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে মেঘ ভেসে যাওয়ার ব্যাপারটা দেখারও একটা আনন্দ রয়েছে। তার মধ্যে এই ভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া সত্যি স্বর্গীয় অনুভুতি। কখনও বৃষ্টি, কখনও মেঘ, আবার পরক্ষণেই পরিষ্কার কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাহাড়ের মন বোঝে এমন সাধ্যি কার!
ছবি: প্রতিবেদক
আরও পড়ুন
অফবিট ঝাড়গ্রাম ঘোরার জন্য রাজ্য পর্যটন দপ্তরের নতুন উদ্যোগ, অনলাইনে মিলবে গাইডের নাম ও ফোন নম্বর
খুব সুন্দরভাবে লিখেছেন! এমন বর্ষার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। ফিক্কালেগাঁওয়ের মতো অফবিট জায়গার গল্প পড়ে আরও পাহাড় ডাকছে মনে হচ্ছে। এর পাশাপাশি চাইলে সিকিমের দিকেও ঘুরে আসতে পারেন, এই সাইটে সুন্দর কিছু প্যাকেজ আছে https://northbengaltourism.com/sikkim-tour-packages/। দারুণ লাগলো পড়ে, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য!