যমুনাসুল: ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে শান্ত সমুদ্রতটে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা
ভিড় নয়, প্রকৃতিই এখানে আকর্ষণ
পুজোর দিনগুলোতে কলকাতার কোলাহল সেরে যদি শান্ত সমুদ্রতটের খোঁজ করেন, তবে যমুনাসুল হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। দিঘা বা পুরীর মতো ভিড় নেই এখানে। ঢেউও তেমন জোরালো নয়। অথচ প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যে ভরপুর এই জায়গা।
বালুতটে পা রাখলেই চোখে পড়বে ঝাউগাছের সারি, এখানে-সেখানে ছড়িয়ে থাকা শঙ্খ-ঝিনুক, আর সৈকতে অবাধে ছুটে বেড়ানো লাল কাঁকড়ার দল। সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আলোয় এই সৈকতের রূপ মায়াবী হয়ে ওঠে। জোয়ার এলে সমুদ্রতটে ভেসে থাকা নৌকাগুলি দুলতে থাকে ঢেউয়ের স্রোতে।
ঘুরে দেখুন আশপাশের জায়গা
যমুনাসুল থেকে সামান্য দূরেই চাউলটি— বিস্তীর্ণ সৈকত, ঝাউবন আর চাউলটি নদীর মিলন দৃশ্য যেন মোহনার মতো। কাছেই মাছের বাজার আর পাখিদের আনাগোনায় ভরে ওঠা প্রাকৃতিক পরিবেশ।
আরও খানিকটা এগোলেই কাসাফল। ঝাউবনের মধ্য দিয়ে হাঁটাপথ, শরতের সময়ে কাশফুলের সৌন্দর্য তার সঙ্গী। ঝাউবন পেরোতেই সামনে হঠাৎ উঁকি দেয় সমুদ্র।

যাত্রাপথ
কলকাতা থেকে যমুনাসুলের দূরত্ব প্রায় ২২৫ কিমি। গাড়িতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় পৌঁছনো যায়।
রুট: কলকাতা → বাগনান → কোলাঘাট → বেলদা → দাঁতন → জলেশ্বর → বালিয়াপাল → যমুনাসুল।
দাঁতনের মনোহরপুরের রাজবাড়ি পথের মাঝে একবার ঘুরে দেখা যেতে পারে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
যমুনাসুলে এখনো পর্যটন খুব বেশি বিস্তার লাভ করেনি। হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল রয়েছে। ঘরোয়া খাবারের পাশাপাশি টাটকা সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে পারবেন। তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থাও আছে, যা ভ্রমণকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে পারে।