ভয়কে জয় করে ঘুরে এলাম মাইথন, সপরিবার

Maithon Trip in Unlock 4
শ্রয়ণ সেন

“থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে”

ডানকুনি টোল প্লাজা পেরিয়ে দু’ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়ি ছুটতে শুরু করতেই, কাজী নজরুল ইসলামের ‘সংকল্প’ কবিতাটির প্রথম লাইনটা মনে এল।

পরম শান্তি। অবশেষে বাড়ি থেকে বেরোতে পারলাম। অবশেষে আবার জগৎটাকে দেখার সুযোগ হল। ছ’ মাসের ঘরবন্দি দশা অবশেষে কাটল।

দু’নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ছুটে চলল আমাদের গাড়ি।

সে কবেকার কথা! মার্চের শেষে গোটা দেশ যখন লকডাউনে চলে গেল, তখন ভেবেছিলাম ২১ দিনেই এই যুদ্ধ জয় হয়ে যাবে, তার পর আবার বেরিয়ে পড়ব সবাই হইহই করে।

কিন্তু সে ২১ দিন তো দূর! করোনাশত্রু ক্রমে তার জাল বিস্তার করেছে। দেশের হেন কোনো প্রান্ত নেই, যেখানে করোনার দাপট নেই। করোনা কবে যাবে কিচ্ছু জানি না, টিকা আদৌ আসবে কি না, সেটা পর্যন্তও নিশ্চিত নয়।

কিন্তু তা বলে আর কত দিন করোনার ভয়ে বাড়িতে সিটিয়ে থাকব এ ভাবে? দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকতে থাকতে মানসিক স্বাস্থ্য যদি বিপর্যস্ত হয়ে যায় সেটা তো আরও ভয়ংকর।

না, এ বার বেরোতেই হবে। পরিবারকে নিয়েই বেরোতে হবে। আর সরকার যা-ই বলুক আমার ৬৭ বছরের বাবাও আমার সঙ্গে যাবে। তাঁকে বাড়ি রেখে আমি বেড়িয়ে চুটিয়ে আনন্দ করব, এমন বান্দা আমি নই।

কিন্তু নব্য স্বাভাবিকতার যুগে তো বেরিয়ে পড়ব বললেই তো বেরিয়ে পড়া যাবে না। অন্তত তিনটে ধাপে পরিকল্পনা করতে হবে।  

পরিকল্পনার প্রথম ধাপ। পরিবহণের মাধ্যম বাছাই করা। ট্রেন চলছে না আর বাসকে এখনই ভরসা করা উচিত নয়। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের একদমই চিন্তা নেই।

আমার মামা তো তার নিজের জাইলো গাড়িটা রেডিই করে রেখেছে। শুধু আমার সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করেছে এত দিন। গত সপ্তাহে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাবটা মামাকে দিতেই নিমেষের মধ্যে রাজি হয়ে গেল।

এ বার এল পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ। যাব কোথায়? দিঘা, মন্দারমণির মতো ভিড়ভাট্টার জায়গা নয়, ফাঁকা, নির্জন জায়গাই প্রাধান্য পেল।

এমন জায়গা তো বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় প্রচুর। কিন্তু মাইথনে ভোট পড়ল। এর প্রধান কারণ, পশ্চিম বর্ধমানে কোনো কনটেনমেন্ট জোন নেই আর দ্বিতীয়ত ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে খুব একটা ভেতরে ঢুকতেও হবে না।

এ বার তৃতীয় ধাপ। সরঞ্জাম কী কী নেব? জিনিসপত্র অনেক বেড়ে গিয়েছে। এর আগে দু’ রাতের সফরে দু’ সেট জামা কাপড় নিতাম, এ বার সেটা হল চার সেট করে। সেই সঙ্গে রাতের পোশাক আরও দু’ সেট। এর পাশাপাশি গাদাখানেক মাস্ক, স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে এখন সঙ্গের সাথী।

অবশেষে রওনা। ডানলপে মামাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ। বালি ব্রিজ পেরিয়ে দু’ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়ি ছোটাল সারথি দেবকুমারদা। ছ’ মাস আগে শেষ বারের ভ্রমণেই এই দু’ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল। এ বার পরিস্থিতি কতটা পালটে গিয়েছে।

নিউ নরম্যালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে জীবনযাত্রা। রাস্তায় সবাই মাস্ক পরে রয়েছে, কেউ কেউ শাওয়ার ক্যাপ পরে মাথা ঢেকে রেখেছে।

এই রাস্তা দিয়ে কোথাও গেলেই আমাদের প্রথম যাত্রাবিরতি হয় শক্তিগড়ে, প্রাতরাশের জন্য। কিন্তু এ বার গুড়াপের কাছে আজাদ হিন্দ ধাবায় প্রাতরাশ করলাম। প্রধান এবং একমাত্র কারণ স্যানিটাইজেশন।

কিন্তু শক্তিগড়ের ল্যাংচা ভবনে কচুরি আলুরদমে যে তৃপ্তিটা আসে, সেটা এই আজাদ হিন্দ ধাবায় এল না। খাবারের দামও আকাশছোঁয়া। তবে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রাতরাশ করে আবার রওনা। বর্ধমানকে ডান দিকে রেখে, পানাগড়ের নবনির্মিত বাইপাস ধরে এগিয়ে চললাম। কোভিডের আবহেও জীবনযাত্রা মোটের ওপর স্বাভাবিক। তফাত বলতে শুধু মুখাবরণটি। নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে, ঠিক যেমন আমরা নিয়েছি। মাস্কে ঢাকা নাক-মুখ আর সানগ্লাসে চোখ। কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না…।

“আপনার ৯৬.৫।”

থার্মাল গানে আমার তাপমাত্রা দেখে নিয়ে মন্তব্য করলেন মাইথন টুরিস্ট লজের নিরাপত্তারক্ষী। দেবকুমারদা-সহ আমরা সাত জনই প্রাথমিক পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছি। সবার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম।

মাইথন টুরিস্ট লজ থেকে বরাকরের দৃশ্য।

ছোট্ট একটা পাহাড়ের কোলে নয়নাভিরাম জায়গায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন নিগমের মাইথন টুরিস্ট লজ। বর্তমানে এর নাম বদলে মুক্তধারা ট্যুরিজম প্রপার্টি হলেও এখনও বিভিন্ন জায়গায় পুরোনো নামটাই লেখা।

সামনেই দেখা যাচ্ছে সুবিশাল বরাকরকে, যাকে আটকে রেখে তৈরি হয়েছে মাইথন বাঁধ। দু’টি কটেজ বরাদ্দ আমাদের নামে।

টুরিস্ট লজের সব কটেজ থেকে অবশ্য বরাকরকে দেখা যায় না। কিন্তু আমাদের ভাগ্য ভালো সেরা দু’টো ঘরই পেয়ে গেলাম।

আতিথেয়তা, পরিষেবা এবং আনুষঙ্গিক ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন অন্য অনেক রাজ্যের পর্যটনের থেকে এগিয়ে। আগে থেকে স্যানিটাইজ করে রাখা ঘরে ঢুকেই দেখি আলাদা করে মাস্ক, স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে লজের তরফে।

এ ছাড়া ঘরে কেটলি, চায়ের সরঞ্জাম, পেস্ট, ব্রাশ, তেল, শ্যাম্পু তো রয়েছেই। এক কথায় সব কিছুই একদম পারফেক্ট। ব্যবস্থা নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই।

ব্যালকনির দরজা খুলতেই অসাধারণ দৃশ্যে মন ভরে গেল। সুবিশাল বরাকর আমাদের সামনে। নদের মাঝখানে ইতিউতি কয়েকটি দ্বীপ আর পাহাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ছ’ মাসের ঘরবন্দি দশা কাটানোর জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর কিছু হতেই পারত না।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, মাই-কা-থান থেকে মাইথন নামের উৎপত্তি। এই মা হচ্ছেন দেবী কল্যাণেশ্বরী। আসানসোলের দিক থেকে ঢোকার সময়ে প্রথমেই কল্যাণেশ্বরী দর্শন হয়েছে।

মন্দির এক্কেবারে ফাঁকা ছিল বলে ঢুকে পড়ার সাহস করেছিলাম। ভিড় তো নেই-ই, এমনকি কোভিডের কল্যাণে মন্দিরচত্বরটা যে ভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে সেটাও এক কথায় অতুলনীয়। পরিছন্ন মন্দির দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল।

কল্যাণেশ্বরী মন্দির থেকে মাইথন টুরিস্ট লজ তিন কিলোমিটার। পথে বাঁ দিকে পড়বে ভান্ডার পাহাড়। দু’শো সিঁড়ি ভেঙে এই পাহাড়ে উঠতে হয়। ওপরে শিবের মন্দির রয়েছে। সেখান থেকে মাইথন জলাধার আর আশেপাশের সৌন্দর্য এক কথায় অসামান্য। শীতকালে এই ভান্ডার পাহাড়ে ওঠার সাহস করা গেলেও এই গরমে কোনো ভাবেই পাহাড়ে ওঠা উচিত নয়।

পেট ভরে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণের জন্য ভাতঘুম। শেষ কবে এমন ভাতঘুম দিয়েছি মনে নেই। রোদের দাপট কিছুটা কমতে বেরিয়ে পড়লাম মাইথম বাঁধটি দেখতে।

দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন পরিচালিত মাইথন বাঁধটি পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খণ্ডকে আলাদা করেছে। বাঁধের ঠিক ওপারেই ঝাড়খণ্ড। আর তাতেই একটু সমস্যা। কোভিডের আবহে বিনা পাসে ঝাড়খণ্ডে কোনো গাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, ইচ্ছে থাকলেও মাইথন বাঁধের ওপারে যাওয়া হল না।

মাইথন ড্যাম থেকে সূর্যাস্ত।

তবে গোধূলি বেলায় বাঁধটা অসাধারণ লাগছিল। আকাশে মেঘ থাকলেও বরাকরের বুকে বেশ মনোরম সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম।

পর্যটক যে ধীরে ধীরে আসছেন, সেটা এই বিকেলের মাইথন বাঁধটা দেখেই বোঝা গেল। শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই প্রায় সবাই বাঁধের পাঁচিলে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন।

দু’ দিনের মাইথনবাসের দ্বিতীয় দিন আমরা কী করব, সেটা ভেবে উঠতেই অনেকটা সময় লেগে গেল। প্রথমে ইচ্ছে ছিল ৬৫ কিলোমিটার দূরের তোপচাঁচি লেক ঘুরে আসব।

কিন্তু তাতে অনেক হ্যাপা। ওই যে শুনলাম ঝাড়খণ্ডে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে গেলে পাস করাতে হবে। পাস করলেও গোটা রাস্তায় যে আমাদের আটকে ঝাড়খণ্ড পুলিশ সেই পাস দেখতে চাইবে না, তার কি গ্যারান্টি? তাতে সময় যাবে অনেক। তাই আবার পুরোনো রুটে ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত হল। পুরোনো রুট অর্থাৎ পাঞ্চেত, গড় পঞ্চকোট আর বড়ন্তি।

দূরত্ববিধি… পাঞ্চেত জলাধারে।

বরাকর শহরের যানজট পেরিয়ে দিশেরগড় সেতু পেরিয়ে প্রথমে এলাম পাঞ্চেতে। দামোদরের ওপরে সুবিশাল জলাধারের ওপরে গাড়িতে একটা রাউন্ড দিলাম। মাঝে একটা জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম।

“দাদা, ভয় না করে এখানে চলে আসুন। আপনারা এলে আমরাও ভালো থাকব।”

গড় পঞ্চকোটে এক চা-দোকানির এই কথাগুলো কানে এল। অন্য এক পর্যটকদলের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। রাস্তার দোকানে চা খাওয়ার সাহসটা আমরা এখনও করতে পারিনি, কিন্তু এখানে দেখলাম অনেকে পর্যটকই নির্দ্বিধায় চা খাচ্ছেন।

দোকানিও অবশ্য পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছেন। দোকান ছিটেবেড়ার হলেও তাঁর মুখে মাস্ক, মাথায় টুপি, পাশেই স্যানিটাইজার রাখা।

“মার্চ থেকে আমাদের যে কী ভাবে দিন কেটেছে, তা আমরা ভুলতে পারব না কখনও। সঞ্চয় ক্রমশ কমে আসছিল। লকডাউন না উঠলে যে কী হত, ভেবেই ভয় লাগে,” বলে চললেন ওই দোকানি।

দোকানির কথাগুলো কিন্তু একটু হলেও ভাবিয়ে তোলে! সত্যিই তো লকডাউন করে এই গরিব মানুষগুলোর কী অবস্থা হয়েছিল তা আমরা শহরের এবং আর্থিক ভাবে কিছুটা হলেও স্বচ্ছল মানুষরা কী আদৌ বুঝতে পারি?

আপনি বেড়াতে বেরোলে আপনার মন ভালো যেমন হবে, তেমনই আপনি গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আপনার তরফে একটা খুব ছোট্ট অবদানও থাকবে।  

গড় পঞ্চকোটের ইতিহাস অনেকেই জানেন। যাঁদের এখনও জানা নেই, তাঁদের জন্য এই ইতিহাস না হয় পরে একদিন লেখা যাবে। গড় পঞ্চকোটের প্রধান আকর্ষণ পঞ্চরত্ন মন্দির। ২০১২ সালে প্রথম যখন এই মন্দির দেখেছিলাম, তখন সেটার ভগ্নদশা ছিল।

এখন অবশ্য পুরোদমে সংস্কার করা হয়েছে। সুবিশাল পঞ্চকোট পাহাড়ের পাদদেশে এই মন্দিরটাকে দূর থেকে দেখতে অসাধারণ লাগে।

পঞ্চরত্ন মন্দির, গড় পঞ্চকোট।

গড় পঞ্চকোটে কিছুক্ষণ কাটিয়ে, পঞ্চকোট পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত কিছুটা হেঁটে এসে এ বার গন্তব্য বড়ন্তি। গত বছর এপ্রিলের প্রবল গরমে এই বড়ন্তিতে দু’ দিনের জন্য কাটিয়ে গিয়েছি। অসাধারণ একটা সময় কেটেছিল তখন।

সেই পুরোনো জায়গায় আবার ফিরে এসে দারুণ লাগল। বাঁধের ধারের পিচ রাস্তা ধরে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে গেলাম শেষ প্রান্ত পর্যন্ত।

বর্ষা, তাই এখানকার প্রধান আকর্ষণ মুরাডি লেক এখন টইটম্বুর। লেকটাকে ঘিরে রেখেছে একগাদা পাহাড়, যার মধ্যে সব থেকে কাছের পাহাড়টাই পরিচিত মুরাডি পাহাড় হিসেবে।

তবে বড়ন্তিতে এখন পর্যটক নেই। বেশির ভাগ হোটেল এখনও খোলেনি এখানে। শোনা গেল অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে হোটেল খুলবে, তখন বড়ন্তি আবার আগের মতো গমগম করতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করলেন এক স্থানীয় ব্যক্তি।

বড়ন্তি।

গড় পঞ্চকোটের পর এই বডন্তিতেও বুঝলাম, স্থানীয়রা কোভিডকে নয়, ভয় পাচ্ছেন আর্থিক দুরবস্থাকে। ঠিকঠাক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেরিয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষজনও আপনাকে স্বাগত জানাবে। কোনো কিছুই সমস্যার নয়।

মধ্যাহ্নভোজনের আগেই ফিরে এলাম মাইথনে আমাদের ঠাঁই-এ। পার্কিংয়ের জায়গাটা পুরো ভরতি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ হোটেল পুরো ভরতি। সবাই গাড়ি নিয়ে চলে এসেছেন। অবশ্যই বেশির ভাগ কলকাতা থেকে।

এই তো চাই! মানুষ ভয়কে জয় করছেন। ঠিক যেমন আমরাও করেছি।   

রবিবার। দু’ দিনের মাইথনযাপনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এখন রিসেপশনে হিসেবপত্তর মেটানোর পালা চলছে।

মাইথন টুরিস্ট লজের পার্কিংয়ের জায়গাটা বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ বেরোতে চাইছেন।

ম্যানেজারসাহেব বললেন, “চিন্তা করবেন না একদম। ভয় পাবেন না। আমাদের দশটা লজ খুলে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অনেক প্রাইভেট হোটেলও খুলে গিয়েছে। এ বার বেরিয়ে পড়ুন সবাই হইহই করে।”

সত্যিই। কোভিডের ভয় কাটানোর জন্য এমন একটা ট্যুরেরই দরকার ছিল। আবার বেরোব আমরা, হয়তো পুজোর ছুটিতেই, এই সংকল্প করেই ফিরে চললাম বাড়ির উদ্দেশে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *