ভারতের যে সড়কগুলিতে ভ্রমণ আপনাকে একবার করতেই হবে

road trips

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: ভ্রমণ মানে শুধু গন্তব্যে পৌঁছোনো নয়। সেই গন্তব্য পৌঁছোতে গেলে যে সড়ক দিয়ে আপনি ভ্রমণ করবেন বা যে ট্রেনে গেলে যে স্টেশন দেখতে দেখতে যাবেন সেগুলোও ভ্রমণের মধ্যেই পড়ে। 

এই প্রতিবেদনে আমরা বাছাই করেছি ভারতের এমন কিছু সড়ক যেখান দিয়ে ভ্রমণ জীবনে একবার অন্তত করতেই হবে। দেখে নেব এমন কিছু সড়ক। আজ প্রথম অংশ। 

১) মানালি থেকে লেহ

manali to leh

বলতে দ্বিধা নেই, এই রাস্তায় একবার ভ্রমণ না করলে, পর্যটক হিসেবে আপনার জীবন পূর্ণ হবে না। হিমাচলের মানালি থেকে কাশ্মীরের লেহ, এই ৪৭৯ কিমি রাস্তার বেশিটাই রুক্ষ। ন্যাড়া পাহাড়ে ঘেরা চারিদিক, নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে বিভিন্ন নদী। বছরে মাত্র পাঁচটা মাস এই রাস্তা খোলা থাকে। মাঝ অক্টোবরেই তুষারপাতের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং এই রাস্তায় যাওয়ার আদর্শ সময় হল জুন-জুলাই। মানালি থেকে লেহ-র মাঝখানে অন্তত দু’বার আপনাকে যাত্রাবিরতি দিতে হবেই।

২) মুম্বই থেকে পুনে

mumbai to pune

মুম্বই থেকে পুনের সংযোগকারী দু’টি রাস্তা রয়েছে। একটি পুরোনো জাতীয় সড়ক এবং অন্যটি এক্সপ্রেসওয়ে। এখানে এক্সপ্রেসওয়ের কথাই বলছি আমরা। পাহাড়ের গা বেয়ে যে ভাবে আট লেনের একটা সড়ক তৈরি হয়েছে, তা ভাষায় বোঝানো যায় না। পাহাড়ের বুক রয়েছে অসংখ্য টানেল। এই এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব ৯৩ কিমি। রাস্তা ফাঁকা থাকলে গাড়ির গতি কোনো ভাবেই ১১০ কিমির নীচে নামে না। অর্থাৎ, এই রাস্তায় মুম্বই থেকে পুনে যেতে সময় লাগবে বড়োজোর ঘণ্টা দেড়েক। আর সৌন্দর্য! সে-ও এক কথায় অতুলনীয়।

আরও পড়ুন: বর্ষায় পশ্চিমবঙ্গে এক ডজন গন্তব্য

৩) ইস্ট কোস্ট রোডে চেন্নাই থেকে পুদুচেরি

east coast road

প্রথম দু’টো ক্ষেত্রে পাহাড়ের কথা বলা হল, এ বার একটু সমুদ্রের কথায় আশা যাক। সমুদ্রের কার্যত ধার দিয়ে চলেছে এই রাস্তা। চেন্নাই থেকে পুদুচেরি যাওয়ার পথে বাঁ দিকে তাকালেই মাঝেমধ্যেই আপনার চোখে পড়বে বঙ্গোপসাগরের নীল জল আর ডান দিকে তাকালে ইতিউতি উঁকি দেবে পূর্বঘাট পর্বতমালা। চেন্নাই থেকে পুদুচেরি, এই ১৬০ কিমি দূরত্ব যেতে আপনার সময় লাগবে ঘণ্টা তিনেক।

৪) সোমনাথ থেকে দ্বারকা

dwarka to somenath

এ বার চলে আসি পশ্চিম উপকূলের কথায়। এই রাস্তার বৈশিষ্ট্য কিন্তু ইস্ট কোস্ট রোডের মতোই, তফাৎ হল এখানে আরব সাগর। গুজরাতের তীর্থ শহর সোমনাথ থেকে আরও এক তীর্থ শহর দ্বারকা, মাঝখানে গান্ধীর শহর পোরবন্দর। এই ২৩১ কিমি রাস্তায় প্রায় পুরোটাই আরব সাগরের ধার দিয়ে। বিকেল নাগাদ এই পথে যাত্রা করলে নয়নাভিরাম সূর্যাস্তেরও সাক্ষী থাকবেন আপনি।

৫) কলকাতা থেকে পুরী

kolkata to puri road

এই রাস্তায় সমুদ্র, পাহাড়ও নেই, তবে ছয় লেনের এই সড়ক দিয়ে গাড়ি ছোটালে  এক অদ্ভুত আনন্দ পাবেন। প্রথমে কলকাতা থেকে খড়গপুর হয়ে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং তার পর ভুবনেশ্বর থেকে পুরী পর্যন্ত ২০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। মোট দূরত্ব আপনার পড়বে ৫০০ কিমি পর্যন্ত। কিন্তু পথের ক্লান্তি আপনি খুব একটা অনুভব করবেন না। আর একটা কথা, দিনের বেলাতেই আপনাকে এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নৈশভোজ সেরে রাত দশটা নাগাদ কলকাতা থেকে রওনা হন, পরের দিন সকালে প্রাতরাশের আগেই পৌঁছে যান পুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *