বুলবুলের জের, পাঁচ মাসের বুকিং বাতিল হেনরিজ আইল্যান্ডে

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: প্রায় দেড় দশক আগে পথ চলা শুরু করেছিল। এরই মধ্যে বাংলার পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে। এই বারো – তেরো বছরে অনেক ঝড়ঝাপটা সে সামলেছে, কিন্তু বুলবুলকে সহ্য করতে পারল না।

ঘণ্টায় ১৪৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়া এই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পুরোপুরি তছনছ হয়ে গিয়েছে বকখালির কাছে হেনরিজ আইল্যান্ড। লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে মৎস্য উন্নয়ন নিগমের দু’টি লজ। এই পরিস্থিতিতে আগামী পাঁচ মাসের জন্য ওই দুই লজে সব বুকিং বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আরাকুর জঙ্গলে এ বার নৈশবিহারের সুযোগ

নিগমের এক আধিকারিকের কথায়, লজের স্টোররুমটি কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছে। ফলে মূল্যবান নথি এবং জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া অনেকগুলি ঘরের ছাদ উড়ে গিয়েছে। হেনরিজ আইল্যান্ডের ভেড়ি চিংড়ি চাষ হয়েছে। কোটি কোটি টাকার চিংড়িও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কার্যত গমগম করে বকখালি-হেনরিজ আইল্যান্ড প্রভৃতি জায়গা।  এখন পাঁচ মাসের জন্য এই লজ বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে, নিগমের বিপুল আর্থিক ক্ষতি।

এখনও হেনরিজ আইল্যান্ডের রাস্তা পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি। জায়গায় জায়গায় গাছ পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতের কোনো স্তম্ভই আর আস্ত নেই। ফলে গোটা এলাকা এবং এই লজকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অন্তত মাস পাঁচেক সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে নিগমের তরফে।

শুধু হেনরিজ আইল্যান্ডই নয়, বুলবুলের জেরে মৌসুনী দ্বীপের তাঁবুগুলি এবং সুন্দরবনের ভেতরে অবস্থিত বেশ কিছু রিসোর্ট ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সব কিছুকে আবার আগের অবস্থায় ফেরাতে গেলে মাস পাঁচেক সময় লাগবেই।

ফলে আসন্ন পর্যটন মরশুমে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পর্যটন ব্যবসার যে বিপুল ক্ষতি হবে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *