রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: চার বছর হল জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন জেলা আলিপুরদুয়ার। কিন্তু জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটের পর্যটন বিভাগে এখনও অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলাকেই দেখানো হয়। এর ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন পর্যটকরা। দ্রুত এই ভুল সংশোধন করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
জলপাইগুড়ি ট্যুর অপারেটর ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক সব্যসাচী রায় বলেন, “সরকারি ওয়েবসাইটে জলপাইগুড়ি জেলার পর্যটনস্থলের ব্যাপারে সমস্ত তথ্য সঠিক ভাবে তুলে না ধরার জন্য পর্যটকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিষয়গুলি সংশোধন করা হলে জেলায় পর্যটকদের সমাগম বাড়বে।”
ওয়েবসাইটের প্যাকেজ অ্যান্ড ডেস্টিনেশন বিভাগে ১১টি বনাঞ্চলের কথা উল্লেখ করা আছে। তার মধ্যে পাঁচটি বাদে সবগুলি আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত। অন্য দিকে জল্পেশ মন্দিরে পর্যটকদের থাকার জন্য যে সরকারি অতিথিশালা তৈরি হয়েছে তারও উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই সতীর ৫১ পিঠের এক পিঠ গর্তেশ্বরী মন্দিরের নাম, নেই জলপাইগুড়ির কালু সাহেবের মাজারের নাম, নেই জলপাইগুড়ির দেড়শো বছরের পুরোনো সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড অল অ্যাঞ্জেল চার্চের নাম। জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি, রাজবাড়ির দিঘি এবং মন্দিরগুলিরও কোনো উল্লেখ নেই।
ট্যুর আপারেটর এবং কার রেন্টাল বিভাগে, জলপাইগুড়ি শহর এবং সন্নিহিত এলাকায় যে ২৫ জন ট্যুর আপারেটর আছে তাদের নাম নেই। জলপাইগুড়ি শহরের কাছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমে যে পর্যটকরা বোদাগঞ্জ, কাঠামবাড়ি, গজলডোবায় সহজে ঘুরতে যেতে পারেন। তার উল্লেখ নেই। পর্যটকরা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়াও নিউ মাল জংশন এবং জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারেন তার উল্লেখ নেই।
বিষয়টি জেলাপ্রশাসনের নজরে আনার পর অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল সব কিছু খতিয়ে দেখেন। তাঁরও নজরে আসে যে ওয়েবসাইটে অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলাকেই দেখানো হচ্ছে। অনেক তথ্যই ভুল এবং অনেক তথ্য দেওয়া নেই। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে কেবল জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত তথ্য থাকবে। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত ভুল সংশোধন করা হবে এবং যে সমস্ত তথ্য নেই সেগুলিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।” এ মাসের ২০ তারিখ নতুন ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।