এ বার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে জঙ্গল সাফারিতে বাঘের দেখা মিলতে পারে

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: অবশেষে বাঘ আসছে ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে। তবে ১২টা নয়, ৬টাও নয়, ৩টি। এর জন্য ১২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর। বক্সায় জঙ্গল সাফারিতে বেরিয়ে পর্যটকরা বাঘের দর্শন পান না, এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ অবশ্য এক সময় বলেছিলেন, “উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে যথেষ্ট বাঘ আছে। তবুও বাঘের সংখ্যা আরও বাড়াতে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে আমরা অসম থেকে ১২টা বাঘ আনাব।”

অসম থেকে বক্সায় বাঘ নিয়ে আসার ব্যাপারটি কয়েক মাস আগেই ঠিক করে ফেলেছিল বন দফতর। প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বহু দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই সব কিছুতে বাধ সাধে করোনা।

শেষ পর্যন্ত অসম থেকে বাঘ আসছে বটে, তবে আপাতত সংখ্যায় তিন। প্রথম ধাপে এক সঙ্গে ছয়টি বাঘ আনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল এনটিসিএ। কিন্তু রাজ্যের বনকর্তারা পরীক্ষামূলক ভাবে তিনটি বাঘ এনেই পরিস্থিতি রেইকি করতে চাইছেন।

এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় বাঘ সংরক্ষণকারী সংস্থার (এনটিসিএ) পক্ষ থেকে অর্থ মঞ্জুর হয়ে যাওয়ায় বক্সায় নতুন করে বাঘের দেখা পাওয়াটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন: জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে দিঘাও

এনটিসিএ-র নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই বাঘেদের খাবার সুনিশ্চিত করতে বাইরের জঙ্গল থেকে প্রচুর চিতল হরিণ নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের খাদ্যের জোগান বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমি।এর পর ছাড়া হবে সম্বর হরিণ। সব মিলিয়ে নতুন অতিথিদের স্বাগত জানাতে বক্সার জঙ্গল প্রায় প্রস্তুত বলে দাবি বন দফতরের।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, “প্রথমেই ছ’টি বাঘের ঝুঁকি আমরা নিতে চাইছি না। তিনটি বাঘ এনে পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। সব ঠিক থাকলে ধাপে ধাপে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *