আগামী মাসেই খুলছে রোটাং টানেল, ভরা শীতেও যেতে পারবেন কেলং

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে নামাঙ্কিত অটল টানেল বা রোটাং টানেল চালু হতে চলেছে সেপ্টেম্বরের শেষে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

স্বপ্নের প্রকল্প এই রোটাং টানেল। এই টানেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩,২০০ কোটি টাকা। মূলত সামরিক কৌশলগত কারণে এই টানেল তৈরির পরিকল্পনা করা হলেও এতে সুবিধা পাবেন পর্যটকরাও।

রোটাং টানেলের বৈশিষ্ট্য কী দেখে নিন

১) শীতকালে প্রবল তুষারপাতের কারণে রোটাং পাস অগম্য হয়ে যায়। সাধারণত মাঝ নভেম্বর থেকে মাঝ এপ্রিল, বছরের প্রায় ছ’ মাস বন্ধ থাকে রোটাং পাস। ফলে হিমাচলের লাহুল-স্পিতি অঞ্চল ওই সময়ের জন্য গোটা দেশের থেকে কার্যত  বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। এই টানেলের ফলে এখন সেটা আর হবে না। এই টানেলের কারণে প্রবল শীতেও লাহুল-স্পিতি যাওয়া সম্ভব হবে।

২) কাছেই চিন সীমান্ত। কৌশলগত কারণে এই টানেল তৈরি হয়েছে। খুব সহজেই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণ করা যাবে। তবে এই টানেলের কারণে এখন গভীর শীতেও কেলং যেতে পারবেন পর্যটকরা।

রোটাং টানেল।

৩) ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি চালু হলে সেটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। সমুদ্রতল থেকে ১০ হাজার ফিটের গড় উচ্চতায় অবস্থিত এই টানেল দিয়ে প্রতি দিন তিন হাজার গাড়ি-বাস-ট্রাক যেতে পারবে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হতে পারবে।

৪) এই টানেলের কারণে লাদাখ বা লাহুল-স্পিতি যাওয়ার জন্য রোটাং পাসের ওপরে আর ভরসা করতে হবে না। রোটাং পাস শুধু পর্যটন কেন্দ্র হয়ে যাবে। এই টানেলের ফলে মানালি থেকে কেলংয়ের দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার থেকে কমে ৬৬ কিলোমিটার হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর ফের চালু হচ্ছে ছয় শহর থেকে কলকাতাগামী উড়ান

৫) ২০০০ সালের ৩ জুন এই টানেল তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। সেই কারণে এই টানলের নাম অটল টানেল রাখা হয়েছে। যদিও এই টানেল তৈরি করার পরিকল্পনা প্রথম মাথায় এসেছিল ইন্দিরা গান্ধীর, ১৯৮৩ সালে। বর্ডার রোডস্‌ অর্গানাইজেশনকে এই টানেল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

৬) ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে এই টানেলের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে ২০১১ সালে এই টানেল খোঁড়ার কাজ শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *