পর্যটনের হাল ফেরাতে পরিকল্পনা শুরু করে দিল কেরল

kumarakom

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: গোটা দেশ যখন যেটা ভাবে, কেরল তার থেকে একটু এগিয়ে ভাবে। এখন যখন গোটা দেশ করোনাভাইরাসের মোকাবিলা নিয়ে ব্যস্ত, তখন কেরল পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছে কী ভাবে সে রাজ্যে পর্যটনের হাল ফিরবে।

গত কয়েক বছরে কম ঝড়ঝাপটা সামলাতে হয়নি কেরলকে। ২০১৮-এ নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে প্রাক-বর্ষার পর্যটন বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্যে। তার পর বর্ষায় ভয়াবহ বন্যার কারণে অক্টোবর-নভেম্বরে কার্যত পর্যটকশূন্য ছিল কেরল।

আরও পড়ুন: অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ রাখতে পারে সিকিম

কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে পর্যটন নিয়ে আগ্রাসী প্রচার শুরু করে পিনারাই বিজয়ন সরকার। তার ফল মেলে ২০১৯-এ। কেরলে ঢল নামে পর্যটকদের।

একটা ভালো বছর যেতে না যেতেই ফের মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে কেরল পর্যটন। বাকি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগেই কেরলে এই ভাইরাস ঢুকে গিয়েছে। ফলে ফেব্রুয়ারি থেকেই মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য পর্যটন। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, কেউ জানে না।

কিন্তু কেরলের করোনাপরিস্থিতি উন্নতি করতে শুরু করেছে। আর ঠিক লকডাউন-পরবর্তী সময়ে কেরলের পর্যটনে গতি আনতে একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। লকডাউন উঠলে সেই কমিটি বৈঠকে বসবে।

on the way to Munnar
মুন্নারের পথে।

তবে একটা ব্যাপারে কেরল নিশ্চিত যে এ বছর বিদেশি পর্যটক সে রাজ্যে আসবে না। কেরলে পর্যটকদের মধ্যে একটা বিশাল সংখ্যা আসেন বিদেশ থেকে। যার মধ্যে উপসাগরীয় দেশের পর্যটকদের সংখ্যা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিদেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ আগামী বেশ কয়েক মাস যে স্বাভাবিক হবে না, সেটা ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে। এই কারণে কেরল পর্যটনের ডিরেক্টর পি বালাকিরণ বলেন, “এই বছর আমাদের ঘরোয়া পর্যটকদের ওপরেই সব থেকে বেশি ভরসা করতে হবে।” ফলে ঘরোয়া পর্যটকদের আরও বেশি করে আকর্ষণ করতে আগ্রাসী প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন এই আধিয়াকারিক।

এমনকি যত দিন না আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন কেরলের বাসিন্দারাই যাতে নিজেদের রাজ্যে বেশি করে ঘোরাঘুরি করেন, সে রকম প্রচারও চালানো হবে। তবে কেরল সরকারের আশা, মাস দুয়েকের মধ্যে অর্থাৎ বর্ষার মাঝামাঝি থেকে দেশের অন্য প্রান্তের পর্যটকরা রাজ্যে আসতে শুরু করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *