অনলাইনে রেলের অসংরক্ষিত টিকিট কাটতে অ্যাপ এখন সারা দেশে, জানুন খুঁটিনাটি

ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: ট্রেনে আসন সংরক্ষণ তো অনলাইনে করাই যায়। কিন্তু অসংরক্ষিত টিকিট? আর লম্বা লাইনের ঝক্কি নিতে হবে না। ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। স্টেশনে পৌঁছে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হবে, এমন মাথার দিব্যি কেউ দিচ্ছে না। এই ঝক্কি থেকে মুক্তি ইউটিএস। এটি আবার কী? এটি হল রেলের টিকিট বুকিং অ্যাপ। মোবাইল অ্যাপ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, মোবাইল থাকলে আর তাতে অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকলেই আর যন্ত্রণা পোহানোর ব্যাপার নেই। দীর্ঘ পথ বা অল্প দূরত্ব সব ক্ষেত্রেই টিকিট বুকিং করা যাবে এই অ্যাপের সাহায্যে। বৃহস্পতিবার থেকে মোটামুটি সারা এই অ্যাপ ব্যবহারের সূচনা হল।

উল্লেখ্য এই অ্যাপটি চার বছর আগেই এনেছিল মন্ত্রক। এত দিন কিন্তু তা সাধারণের মধ্যে খুব একটা চালু ছিল না। বলা যায়, প্রথমে এটি সীমাবদ্ধ ছিল মুম্বইয়ের মধ্যেই। কারণ এখানে প্রচুর যাত্রী লোক্যাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। তার পর এই অ্যাপের ব্যবহার শুরু হয়েছিল দিল্লি-পালওয়াল রুটে এবং চেন্নাই শহরে। এখন থেকে দেশের ১৫টি রেল-জোনে এই অ্যাপ চালু করা হল। বাকি রইল শুধু দু’টি জোন – উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ও পশ্চিম মধ্য রেল।

রেলের একজন প্রবীণ আধিকারিক বলেন, বেশি যাত্রী যাতে এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করেন তার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাত্রীদের অ্যাপ ব্যবহারের সুফল বোঝানো হচ্ছে। তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের সুবিধাটা বুঝতে পারবেন।

কী ভাবে ব্যবহার করা যাবে এই অ্যাপ?

১) এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের স্টেশন থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিটার দূরে থাকতে হবে।

২) এই অ্যাপের মাধ্যমে সর্বাধিক চারটি টিকিট বুক করা যাবে।

৩) এই অ্যাপে খালি যে টিকিট বুকিং হবে তাই নয়, কাটা যাবে প্ল্যাটফর্ম টিকিট আর মাসিক পাসও যাকে বলে মান্থলি টিকিটও।

প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন রেল ইঞ্জিন কোথায় তৈরি হল?

প্রসঙ্গত, এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ৪৫ লক্ষ অনুমোদিত যাত্রী তৈরি হয়েছে এই চার বছরে। এই অ্যাপে গত চার বছরে দিনে গড়ে রেলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৮৭ হাজার। তার থেকে দিনে রেলের লাভ হয়েছে গড়ে ৪৫ লক্ষ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *