প্লেন, ট্রেন বা বাসে যাবেন, এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের জেরে দু’ মাস লকডাউনের পর একটু একটু করে শিথিল করা হচ্ছে কড়াকড়ি। আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা। ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে সারা দেশে ২০০টি ট্রেনের চলাচল। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে চালু হয়েছে বা হচ্ছে আন্তঃরাজ্য বাস পরিবহণ। বিমান, ট্রেন বা বাস, যাতেই ভ্রমণ করুন, যাত্রীসাধারণকে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই মর্মে কিছু নীতিনির্দেশ জারি করেছে।

এক নজরে দেখা নেওয়া যাক সেই সব নীতিনির্দেশ –

১। কী করতে হবে আর কী করতে হবে না, সংশ্লিষ্ট এজেন্সি তার একটি তালিকা প্রত্যেক যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে দিয়ে দেবে।

২। প্রত্যেক যাত্রীকে তার মোবাইল ফোনে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ড়াউনলোড করতে হবে।

৩। কোভিড ১৯-এর জন্য কী সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে সে সম্পর্কে এবং আরও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বিমানবন্দর/রেলস্টেশন/বাস টার্মিনালে এবং উড়ান/ট্রেন/বাসে ঘোষণা করা হবে।

৪। যাত্রা যেখান থেকে শুরু হচ্ছে সেখানে যাতে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং হয় তা সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সুনিশ্চিত করতে হবে এবং শুধুমাত্র উপসর্গহীন যাত্রীদেরই উড়ানে/ট্রেনে/বাসে চড়তে দেওয়া হবে।

৫। উড়ানে/ট্রেনে/বাসে চড়া এবং ভ্রমণের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে বা মুখ ঢাকতে হবে। তাঁদের হাত সংক্রান্ত ও শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং পরিবেশ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে।

রেলস্টেশনে। ছবি: রাজীব বসু।

৬। বিমানবন্দর/রেলস্টেশন/বাস টার্মিনালে শারীরিক দূরত্ব (সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং) সুনিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭। বিমানবন্দর/রেলস্টেশন/বাস টার্মিনাল নিয়মিত স্যানিটাইজ/জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং সাবান ও স্যানিটাইজারের প্রাপ্যতা সুনিশ্চিত করতে হবে।   

৮। গন্তব্যস্থানে পৌঁছোনোর পর বিমানবন্দর/রেলস্টেশন/বাস টার্মিনাল থেকে বেরোনোর সময়েও থার্মাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৯। উপসর্গহীন যাত্রীদের উড়ানে/ট্রেনে/বাসে এই শর্তেই চড়তে দেওয়া হবে যে, তাঁরা পরবর্তী ১৪ দিন নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন। ওই সময়ের মধ্যে যদি কোনো উপসর্গ দেখা যায়, তা হলে তাঁরা জেলা সার্ভেইল্যান্স অফিসার অথবা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কল সেন্টারে (১০৭৫) যোগাযোগ করবেন।

১০। থার্মাল স্ক্রিনিং-এর সময় যাঁদের উপসর্গ দেখা যাবে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা হবে এবং কাছাকাছি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। ওই কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষা করা হবে।

আরও পড়ুন: ১ জুন থেকে রোজ ২০০টি নন-এসি যাত্রীট্রেন

১১। যাঁদের মাঝারি বা বেশি রকম উপসর্গ দেখা যাবে তাঁদের কোভিড চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেইমতো ব্যবস্থা করা হবে।

১২। যাঁদের সামান্য উপসর্গ দেখা যাবে তাঁদের বেছে নিতে হবে তাঁরা কোথায় থাকবেন হোম আইসোলেশনে নাকি কোভিড কেয়ার সেন্টারে। আইসিএমআর প্রোটোকল অনুযায়ী তাঁদের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে।।যদি দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ, তা হলে তিনি কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকবেন এবং সেইমতো ব্যবস্থা করা হবে। যদি দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিড নেগেটিভ, তা হলে তাঁকে বাড়ি যেতে দেওয়া হবে এবং আরও সাত দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে।ওই সময়ের মধ্যে যদি কোনো উপসর্গ দেখা যায়, তা হলে তাঁরা জেলা সার্ভেইল্যান্স অফিসার অথবা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কল সেন্টারে (১০৭৫) যোগাযোগ করবেন।

১৩। নিজেদের অবস্থা বুঝে রাজ্যগুলো আইসোলেশন বা কোয়ারান্টাইনের ব্যাপারে নিজেদের নীতিনিয়ম জারি করতে পারে।                         

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *