পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য পাহাড় খুলে দিতে চায় জিটিএ

Kanchenjungha peak

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের কারণে হোটেল ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাবসা লাটে উঠেছে। পাহাড়ের অর্থনীতির একটা বিশাল বড়ো স্তম্ভ যে পর্যটন, সেই পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় স্থানীয় মানুষজনের রুজিরুটিতে টান পড়তে শুরু করেছে।

অসুস্থ হলে চিকিৎসায় সেরে ওঠা যাবে, কিন্তু এ ভাবে ব্যবসা মার খেলে পাহাড়বাসীর জীবনে যে সংকট দেখা দেবে, যা কোভিডের থেকেও ভয়াবহ। ঠিক সেই কারণেই এ বার অন্য রকম চিন্তাভাবনা শুরু করছে পাহাড়। আর পর্যটন বন্ধ করে রাখা নয়, পুজোর আগেই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছে পাহাড়।

পাহাড়ের বাসিন্দাদের বড়ো অংশই যে পর্যটন চালু করার পক্ষে, সেটা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর আধিকারিকদেরও কানে পৌঁছেছে। আর তাই পাহাড়ের হোটেল মালিক আর পর্যটন ব্যবসার সব অংশীদারের সঙ্গে আগামী রবিবার দার্জিলিংয়ের জিমখানা ক্লাবে বৈঠকে বসতে চলেছে তারা।

জিটিএ-র বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, “পর্যটন শুরু করার ব্যাপারে আমরা কিছু প্রস্তাব রবিবারের বৈঠকে দেব। ধীরগতিতে হলেও পাহাড়ে পর্যটন ফিরুক এটাই আমরা চাই।”

অন্য দিকে দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঙ্গে ছেরিং বলেন, “পুজোয় পর্যটনে কিছুটা হলেও পুরোনো ছবি দেখা যাবে বলে আশা করছি।”

ম্যাল, দার্জিলিং।

উল্লেখ্য, গত জুন মাস থেকেই পাহাড়ের পর্যটন পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিটিএ। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন পাহাড়বাসীই। তাঁদের যুক্তি ছিল পর্যটক এলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে আর পাহাড়বাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

কিন্তু করোনা যে সহজে যাওয়ার নয়, সেটা এখন বুঝতে পারছেন অনেকেই। আর সেই কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসাপত্তর লাটে উঠিয়ে রাখলে পরিস্থিতি যে কোভিডের থেকেও ভয়াবহ হয়ে উঠবে সেটাও এখন বুঝতে পারছেন পাহাড়বাসী।

বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ের মানুষই যে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে চাইছেন সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জিটিএ-এর চেয়ারম্যান অনীত থাপা। তবে পর্যটন ফিরলে পাহাড়ে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করলেও ‘দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেলার্স এজেন্ট’-এর সম্পাদক প্রদীপ লামা মনে করেন, যত দিন না ট্রেন চালু হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।

জিটিএ সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পাহাড়ে পর্যটকদের স্বাগত জানানো যায় কি না, সেই ব্যাপারে আলোচনা হবে রবিবারের বৈঠকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *