দেশীয় পর্যটকদের জন্য ২ জুলাই থেকে দরজা খুলে গেল গোয়ার

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার থেকে গোয়ার দরজা খুলে গেল পর্যটকদের জন্য। তবে আপাতত দেশীয় পর্যটকদেরই শুধু গোয়ায় যেতে দেওয়া হবে, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নয়। উপকূলবর্তী এই রাজ্যে আড়াইশোর মতো হোটেল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী মনোহর অজগাঁওকর।

গোয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (জিটিডিসি) হোটেলগুলিও খুলে যাচ্ছে ২ জুলাই থেকে। অনলাইন বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।  

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য মার্চের শেষ দিকে যখন দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়, তখন থেকেই গোয়ার সমস্ত হোটেল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর ২ জুলাই থেকে আবার খুলে গেল হোটেলগুলি।

রাজ্যে আবার পর্যটনের কাজকর্ম শুরু করার ব্যাপারে রাজ্য মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পর্যটনমন্ত্রী জানান। উল্লেখ্য, সমুদ্রোপকূলবর্তী এই রাজ্যের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।

আরও পড়ুন: এ বার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে জঙ্গল সাফারিতে বাঘের দেখা মিলতে পারে

রাজ্যের পর্যটন দফতর এখনও পর্যন্ত আড়াইশো হোটেলকে ফের খোলার অনুমতি দিয়েছে। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে পরিচালন পদ্ধতির যে মান অর্থাৎ যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর (এসওপি) বেঁধে দিয়েছে, হোটেলগুলিকে তা মেনে চলতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, “দেশীয় পর্যটকরা যদি কিছু নিয়মবিধি মেনে চলেন, তা হলে আমরা তাঁদের ২ জুলাই থেকে গোয়ায় ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করেছি।”

মন্ত্রী জানান, যে সব হোটেল পর্যটন দফতরের অনুমোদন পেয়েছে খোলার জন্য, পর্যটকদের সেই সব হোটেলে আগে থেকে থাকার জায়গা সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

মনোহর অজগাঁওকর জানিয়ে দেন, যে সব হোটেল বা হোম স্টে তাদের ব্যবসা আবার চালু করার ব্যাপারে পর্যটন দফতরে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেনি, তারা অতিথি আপ্যায়ন করতে পারবে না বা অনলাইন বুকিং শুরু করতে পারবে না।

তা ছাড়া, গোয়ায় ঢুকতে হলে পর্যটকদের নিজেদের কাছে কোভিড ১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে অথবা রাজ্যের সীমানায় তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে এবং ফল আসা পর্যন্ত সরকার চালিত কোনো জায়গায় কোয়ারান্টাইন থাকতে হবে।

মন্ত্রী জানান, “পরীক্ষার ফল যাঁদের পজিটিভ আসবে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেতে দেওয়া হবে অথবা গোয়ায় থেকেও তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *