১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ভিতরে কোনো যাত্রীবিমান চলবে না, জানিয়ে দিল ডিজিসিএ

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: কোভিড ১৯-এর (Covid 19) জেরে দেশ জুড়ে ২১ দিন লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্দেশীয় যাত্রীবিমান পরিষেবা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত ডায়রেক্টোরেট জেনারেল (ডিজিসিএ) এই সিদ্ধান্ত করেছে। উল্লেখ্য, এ দেশে আন্তর্জাতিক যাত্রীবিমান পরিষেবা ২২ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ডিজিসিএ (DGCA) গত শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত করেছে। এর আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রীবিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণামতো ২১ দিনের লকডাউন চালু হতেই যাত্রীবিমান পরিবহণ বন্ধের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত ডায়রেক্টোরেট জেনারেল (Directorate General of Civil Aviation)।

আরও পড়ুন: দু’ মাস পর খুলে দেওয়া হল চিনের প্রাচীরের বাডালিং শাখা

ডিজিসিএ-র মেমোতে বলা হয়েছে, “নির্ধারিত, অ-নির্ধারিত এবং বেসরকারি বিমান চালনায় নিযুক্ত সমস্ত অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থাকে এই নির্দেশ কড়াকড়ি ভাবে পালন করতে হবে।” মেমোতে সই করেছেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল কুমার।

সুতরাং আগামী ১৭ দিন দেশের আকাশে কোনো রকম ভ্রমণ চলবে না।

ডিজিসিএ এই ঘোষণা করার আগেই গোএয়ার (GoAir) এবং এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) তাদের বিমান চলাচল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে। এবং বলে দিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিমান চলাচল শুরু হবে।

ইতিমধ্যে যাত্রীদের সুবিধার্থে গোএয়ার বলেছে, “আমাদের যে ‘প্রটেক্ট ইওর পিএনআর’ স্কিম আছে, সেই স্কিম অনুযায়ী যাত্রীরা টিকিট বুকিং-এর প্রকৃত তারিখ (date of original booking) থেকে এক বছর পর্যন্ত তাঁদের ভ্রমণ পিছিয়ে দিতে পারেন।” এই স্কিম অনুযায়ী কারও যদি ২৬ মার্চ ২০২০ থেকে ১৪ এপ্রিল ২০২০-এর মধ্যে উড়ানের টিকিট কাটা থাকে তা হলে তিনি তাঁর ভ্রমণ ২০২১-এর  ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে গোএয়ার আরও জানিয়েছে, যে সেক্টরের জন্য টিকিট কাটা আছে, সেই সেক্টরেই যে ভ্রমণ করতে হবে, তা নয়। টিকিটের পুরোনো পিএনআর-এর ভিত্তিতে অন্য যে কোনো সেক্টরের জন্য তাঁকে নতুন টিকিট দেওয়া হবে। তবে নতুন রুটে যদি ভাড়ার কোনো ফারাক হয়, তা যাত্রীকে দিতে হবে। কোনো রিশিডিউলিং ফি লাগবে না।

ইন্ডিগো (IndiGo) এবং স্পাইসজেট (Spicejet)-এর বিমান মতো বিমান সংস্থা সরকারের লকডাউন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *