পর্যটনশিল্প পুনরুজ্জীবনের নতুন নীতিনির্দেশ কয়েক দিনের মধ্যেই

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে টানা লকডাউনের জেরে সব থেকে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে পর্যটনশিল্প। সব থেকে খারাপ ব্যাপার হল, আচমকা কাজ হারানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি বিভিন্ন সময়ে নানা রকম প্যাকেজ ঘোষণা করলেও, পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেই। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে পর্যটনশিল্পকে আবার পুনরুজ্জীবন দেওয়া যায়, সেটাই এখন ভাবতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।

মে’র মাঝামাঝিই পর্যটন নিয়ে নতুন নীতিনির্দেশ প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। সব রাজ্যের সঙ্গে কথাবার্তা, আলাপ আলোচনার পরেই এই নতুন নীতিনির্দেশ প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নীতিনির্দেশ মেনেই এই নতুন পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক।

এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় পর্যটন দফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল রুপিন্দর ব্রার বলেন, “এই মাসের মাঝামাঝিই নতুন নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নানা রকম নিয়মকানুনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনার কথাও উল্লেখ থাকবে।”

ঠিক কী ধরনের বদল আসতে পারে পর্যটনশিল্পে সেটার একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজস্থানের পর্যটন মন্ত্রকের প্রধান সচিব শ্রেয়া গুহ। তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক স্থাপত্য আর সংগ্রহশালার গাইডলাইন ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এখানে গুরুত্ব পেতে চলছে অনলাইন টিকিট বুকিং এবং পরিচ্ছন্নতা।”

আরও পড়ুন বুধবার সকালে কলকাতা পেল ‘বিশ্বের সব চেয়ে কম দূষিত’ শহরের তকমা

অর্থাৎ মিউজিয়াম বা ঐতিহাসিক স্থাপত্যে ঢুকতে গেলে এখন আর টিকিট কাউন্টারে ভিড় করতে হবে না বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এতে সুবিধা হবে যে, তুলনায় কম মানুষ একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

অন্য দিকে ইন্ডিয়ান হেরিটেজ হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান গজ সিংহ বলেন, পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই বুঝে গিয়েছেন যে বিদেশি পর্যটকরা এখন বেশ কয়েক মাস, এমনকি বেশ কয়েক বছর ভারতে আসবেন না। ফলে দেশীয় পর্যটকদের বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, “পর্যটনের বাজার বাড়ানোর জন্য রাজ্যভিত্তিক নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে। এক একটি রাজ্যে কী বিশেষত্ব, তার ওপরে গুরুত্ব দিতে হবে। হোটেলগুলিকে পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে।”

সব মিলিয়ে এটা বোঝা যাচ্ছে যে লকডাউন-পরবর্তী ভারতকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবেই। কিন্তু পর্যটনের মতো শিল্পকে তো টানা বন্ধ করে রাখা যাবে না। তাই আপাতত এই রকম নতুন নিয়মকানুন নিয়েই চলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *