কোচবিহার শহরের ১৫৫টি স্থানকে হেরিটেজ তকমা

cooch behar palace

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর হিসাবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা প্রথম মাথায় এসেছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বছর দুয়েক আগেই তাঁর এই ইচ্ছার কথা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন কোচবিহারে আয়োজিত এক সরকারি সভায়। তার পর থেকেই চলছিল তোড়জোড়। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটি শহরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান একাধিক বার পরিদর্শন করে। বৃহস্পতিবার কোচবিহার শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করে শহরের ১৫৫টি স্থানকে হেরিটেজ ঘোষণা করল প্রশাসন।

ঘোষিত ১৫৫টি স্থানের মধ্যে ১১০টি সরকারি মালিকানাধীন এবং ৪৫টি বেসরকারি মালিকানাধীন। এই স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে ভবন, মন্দির, দিঘি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে কোচবিহার পুরসভায় একটি সেল খোলা হচ্ছে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা এক মাসের মধ্যে ওই সেলের কাছে জানাতে হবে। সেই অভিযোগ শুনে পদক্ষেপ কোরা হবে বলে প্রশাসনের পখ থেকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক বসেছিল জেলাশাসকের কার্যালয়ে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ নৃপেন্দ্রনাথ পাল, কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরুণজ্যোতি মজুমদার, গবেষক দেবব্রত চাকি, লেখিকা তন্দ্রা চক্রবর্তী, কনসর্টিয়াম অব কোচ রয়্যাল ফ্যামিলিজ-এর সম্পাদক সুপ্রিয়নারায়ণ চৌধুরী প্রমুখ।

এই হেরিটেজ তালিকায় রয়েছে কোচবিহারের রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির, এমজেএন হাসপাতাল,জেলাশাসকের বাংলো, পুলিশ সুপারের বাংলো, জেনকিন্স স্কুল, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজ, রাজমাতা মন্দির, ডাঙরআই মন্দির, নিত্যানন্দ মন্দির, বৈরাগীদিঘি, মালিদিঘি, সাগরদিঘি, রাসমেলা মাঠ, সার্কিট হাউজ, বার অ্যাসোসিয়েশন, বড়দেবীর মন্দির, জজ কোর্ট, আনন্দময়ী ধর্মশালা, কমলা কুটির, প্রভৃতি।

হেরিটেজ ঘোষিত স্থানগুলির ইচ্ছে হলেই পরিবর্তন করা যাবে না। এখন থেকে সঠিক নিয়ম মেনে এই জায়গাগুলির সংস্কার করতে হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *