গোয়া গেলে যে জায়গাগুলো আপনি অবশ্যই দেখবেন

করোনা পরিস্থিতি একটু একটু করে ভালো হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের জের ধীরে ধীরে কমছে। ভ্রমণের উপরে যে নিষেধাজ্ঞা রাজ্যগুলো চাপিয়েছিল, তাও ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। বহু রাজ্য তাদের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দিচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে গোয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেতেই পারে। বর্ষায় যেতে পারেন গোয়া। তখন অন্য এক গোয়াকে দেখবেন – সবুজ গোয়া। আর হোটেলে অফসিজন ডিসকাউন্ট তো পাবেনই।

গোয়া গেলে যে দ্রষ্টব্যগুলো আপনাকে দেখতেই হবে, তার একটা তালিকা দিল ভ্রমণঅনলাইন।

দুধসাগর ফলস্‌

বর্ষাকালই তো সব চেয়ে ভালো সময় দুধসাগর ফলস্‌ দেখার। সত্যিই যেন দুধসাগর। অনেক দূর থেকেই জলপ্রপাতের গর্জন শুনতে পাওয়া যায়। এর বিপুল জলরাশি অনেক উচ্চতা থেকে পড়ে পাহাড়-জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যায়।     

আগুয়াদা সৈকত ও ফোর্ট আগুয়াদা

ক্যান্ডোলিম সৈকতের কাছেই ফোর্ট আগুয়াদা। ফোর্ট আগুয়াদা আপনাকে দেখতেই হবে। সপ্তদশ শতকে এই পর্তুগিজ দুর্গটি সযত্নে রক্ষা করা হচ্ছে। রয়েছে লাইটহাউস। ফোর্ট থেকে আরব সাগরের দৃশ্য এক কথায় বিস্ময় জাগায়। কাছেই আগুয়াদা সৈকত। নর্থ গোয়ার এই সৈকতে পর্যটকদের খুব একটা পা পড়ে না।

ফনটেনহাস, পানজিম

গোয়ার রাজধানী পানজিমের একটি পাড়া ফনটেনহাস। এটি গোয়ার প্রাচীনতম লাতিন কোয়ার্টার। আল্টিনো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই পাড়াটি ঠিক যেন ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি শহর। পর্তুগিজ স্থাপত্যের ছোটো ছোটো রঙিন ভিলাগুলি আপনার চোখ টানবেই।  লাল টালির ছাদ, সুন্দর ব্যালকনি –এই ভিলাগুলির বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো ভিলা সেজেছে দেওয়াল-চিত্রে। এখানেই রয়েছে আঠারো শতকের সেন্ট সেবাস্টিয়ান চ্যাপেল। হেঁটে ঘুরুন ফনটেনহাস।

চাপোরা ফোর্ট

গোয়ার বারদেয অঞ্চলে বেশ জাঁকালো ফোর্ট। খুব জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। ফোর্ট থেকে আরও সাগরের দৃশ্য মুগ্ধ করে। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখতে ভুলবেন না।

ব্যাসিলিকা অব বম জেসাস

দেশের প্রাচীন চার্চগুলোর অন্যতম ব্যাসিলিকা অব বম জেসাস। এই চার্চ না দেখলে গোয়া ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এখানেই রক্ষিত হয়েছে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারের শবদেহ। প্রতি বারো বছর অন্তর দর্শনার্থীরা সেন্ট জেভিয়ারের শবদেহ দেখার সুযোগ পান।

বাগা সৈকত

যারা পার্টি করতে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে স্বর্গরাজ্য বাগা সৈকত। উত্তর গোয়ার এই সৈকতকে আপনার ভ্রমণসূচিতে রাখতেই হবে। এখানে প্যারাসেলিং, ব্যানানা বোট রাইডিং-এর মতো জলক্রীড়া উপভোগ করা যায়।

আনজুনা সৈকত

বাগা থেকে খুব একটা দূরে নয় আনজুনা সৈকত। গোয়ার হিপি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হলে এই সৈকতে আপনাকে আসতেই হবে।

বাটারফ্লাই সৈকত

জনতার ভিড় থেকে অনেক দূরে সাউথ গোয়ার এই সৈকত একটি লুকোনো মণি। তবে এখানে যাওয়া একটু হ্যাপার। আগোন্ডা সৈকত থেকে ফেরিতে চলুন বাটারফ্লাই সৈকতে।

আরও পড়তে পারেন

ফের চালু শিলিগুড়ি-দার্জিলিং টয় ট্রেন, উপভোগ করুন মহানন্দা অভয়ারণ্য, চা-বাগান, দেখুন বাতাসিয়া লুপ

ভিস্টাডোম কোচে ভ্রমণ করুন, উপভোগ করুন পথের সৌন্দর্য

বিমানবন্দরে বিদেশাগতদের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেও যেতে হবে কোয়ারান্টাইনে, অষ্টম দিনে করাতে হবে আরটি-পিসিআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *