ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: কাশ্মীর ও লাদাখকে দু’টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর এ বার পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহ সাধারণ মানুষের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া নজরে থাকা এই অঞ্চলটি মানুষের বসবাসের প্রায় অযোগ্য বললেই চলে। কিন্তু এই সিয়াচেন হিমবাহেই আছে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। এই রকম পরিবেশে যেখানে শীতকালে তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের অনেক নীচে, সেখানে কী ভাবে জওয়ানরা থাকেন তা দেখানোর জন্যই এই অঞ্চল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত একটি আলোচনাসভায় সিয়াচেন হিমবাহ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ওই আলোচনাসভায় কয়েক জন সিনিয়র লেফটেন্যান্ট জেনারেল-সহ বেশ কিছু সেনা অফিসার উপস্থিত ছিলেন। রাওয়াত আশা করেন, সিয়াচেনে পর্যটকরা যেতে পারলে তা জাতীয় সংহতির সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন দু’ মাস পর বৃহস্পতিবার খুলে গেল ‘স্বর্গের দরজা!’
এখন সেনাবাহিনীর কিছু কেন্দ্রে এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষদের যেতে দেওয়া হয়। এখন থেকে সিয়াচেনের মতো কিছু অগ্রবর্তী ঘাঁটিতেও (ফরোয়ার্ড পোস্ট) তাঁদের যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সিয়াচেন হিমবাহে সাধারণ মানুষ যেতে পারেন না। শুধুমাত্র যে সব স্থানীয় মানুষ সিয়াচেনের কাছাকাছি থাকেন এবং যাঁরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে মালবাহকের কাজ করেন তাঁরাই সেখানে যেতে পারেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুধু সিয়াচেনই নয়, লাডাকে আরও যে সব সেনাশিবির রয়েছে, সেগুলিও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা সেনাবাহিনীর কার্যকলাপের কিছু ঝলক দেখতে পান।
লাদাখে অবস্থিত সিয়াচেন আগে জম্মু-কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এখন জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে যে হেতু দু’টি আলাদা কেন্দ্রশাষিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, তাই সিয়াচেন এখন লাদাখের মধ্যে পড়ে। লাডাকের আর কোন কোন আর্মি ক্যাম্পে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিয়াচেন হিমবাহ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলে পাকিস্তান কোনো আপত্তি করবে কিনা এই প্রশ্ন করা হলে, ওই সূত্র বলেন, গোটা অঞ্চলটাই ভারতের। এ ব্যাপারে ভারতীয় প্রশাসন যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারে।