দর্শন করুন শ্রীকৃষ্ণমন্দির: উত্তর ভারত

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক : উত্তর ভারতের খ্যাতনামা শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরগুলো মূলত মথুরা-বৃন্দাবনেই ছড়িয়ে। মথুরায় কংসের কারাগারে কৃষ্ণের জন্ম। তার পর যমুনাপারে নন্দগাঁওয়ে নন্দ ঘোষের ঘরে মা যশোদার কোলে প্রতিপালন। আর তাঁর লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন। তাই বৃন্দাবন-মথুরা আর তার আশপাশ জুড়ে শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে ছড়াছড়ি। কোনো মন্দির বেশ প্রাচীন, আবার কোনো মন্দির বেশ নবীন। স্থাপত্যেও এক একটি মন্দির এক এক রকম। অভিনবত্ব আছে মন্দিরের নির্মাণশৈলীতে। সময় সুযোগ করে দেখে আসা যেতে পারে সেই সব মন্দির। 

কেশবদেব মন্দির, মথুরা 

শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা। সেখানে কংসের কারাগারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কেশবদেব মন্দিরটি তাঁর জন্মস্থানের ঠিক পাশেই অবস্থিত। কথিত আছে এই মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের মূল মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পৌত্র শ্রীবজ্রনাভ। কুষাণকালের বুদ্ধিস্ট মনাস্টেরির ধ্বংসাবশেষের উপর শাক্য রাজারা প্রথম মন্দির গড়েন। দ্বিতীয় মন্দির গড়েন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। সেই মন্দিরটি ১০১৭ সালে সুলতান মামুদ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তৃতীয় বার ১২৫০ সালে এই মন্দির গড়েন মহারাজ বিজয় পাল। সেটি ধ্বংস হয় সিকান্দার লোদির হাতে। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের শাসনকালে ১৬১৩-য় ওরচার রাজা বীর সিংদেও মন্দিরটি আবার নির্মাণ করে দেন। ১৬৬১ সালে মন্দিরটি ধ্বংস হয় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে। ধ্বংসস্তূপে একটি ইদগাহ নির্মিত হয়।

১৯১৫ সালে ব্রিটিশ আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থানটি নিলামের আয়োজন করে। তখন কাশীর রাজা পান্তিমল জায়গাটি কিনে নেন। কিন্তু তিনি স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে আদালত রাজার পক্ষে রায় দেয়। মন্দির তৈরির ইচ্ছা থাকলেও তা পূরণ করে যেতে পারেননি তিনি। ১৯৪৪ সালে মদনমোহন মালব্য কাশীরাজার উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে জায়গাটি কিনে নেন। কিন্তু তিনি নতুন মন্দির দেখে যেতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বিড়লা ও ডালমিয়া গোষ্ঠীর হাত ধরে ১৯৬৫ সালে আবার এই ঐতিহাসিক মন্দিরটি অবয়ব পায়। মন্দিরের পাশেই জেলখানার মতো ছোট্টো একটি ঘর আছে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মগ্রহণের সেই কারাগারের স্মরণে এই ঘরটি নির্মাণ করা হয়। এই কারাগার নির্মাণের কাজ শেষ হয় ১৯৮২ সালে।

দ্বারকাধীশ মন্দির, মথুরা 

dwarakadhish templeমথুরার প্রধান কৃষ্ণমন্দিরটি শেঠ গোকুলদাস পারিখ ১৮১৪ সালে নির্মাণ করান। নানা মণিমুক্তোয় শোভিত দ্বারকাধীশের বিগ্রহ। দ্বারকাধীশ ছাড়াও এই মন্দিরে রয়েছেন মথুরানাথ, লক্ষ্মীনারায়ণ এবং মুরলীমনোহর। এই মন্দিরে প্রতি বছর জাঁকজমক সহকারে হোলি ও জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়। কাছেই দেখবেন কিংবদন্তি ঘেরা বিশ্রামঘাট। কংসকে বধ করার পর শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম এই ঘাটে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এখানে নৌকা ভাড়া করে যমুনার ঘাটগুলো ঘুরে দেখা যায়।

রাধারমণ মন্দির, বৃন্দাবন  

১৫৪২ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মন্দির তৈরি করেছিলেন গোপাল ভট্ট গোস্বামী। গোপাল ভট্ট গোস্বামী হলেন বৃন্দাবনের ছয় গোস্বামীর মধ্যে এক জন। তিনি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যকে কঠোর ভাবে অনুসরণ করতেন। এই রাধারমণ মন্দির হল বৃন্দাবনের সর্বাধিক পূজিত ও জনপ্রিয় একটি মন্দির।

এই মন্দিরে স্বয়ম্ভু শালগ্রাম শিলায় শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তিটি এক ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। এই মন্দিরে শ্রীরাধার কোনো মূর্তি নেই। শাস্ত্র অনুযায়ী নাম আর ব্যক্তি অভিন্ন। সেই কথা মেনে এখানে রাধারানির নাম পূজিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির পাশে একটি সোনার থালায় রাধারানির নাম খোদিত আছে। সেই নামই পুজো করা হয়। তবে বর্তমানের মন্দিরটি স্থাপিত হয়েছে ১৮২৬ সালে। সেটি তৈরি করেছেন লখনউয়ের শাহবিহারী লালজি। খরচ হয়েছিল ৮০ হাজার টাকা।

যুগলকিশোর মন্দির, বৃন্দাবন

১৬২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই যুগলকিশোর মন্দির। বৃন্দাবনের কোশিঘাটে অবস্থিত এই মন্দিরটি।  ১৫৭০ সালে মুঘল সম্রাট আকবর এক বার এই স্থানে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। তিনি স্থান পরিদর্শন করে এখানে চারটি মন্দির স্থাপনের অনুমতি দিয়েছিলেন। তারই মধ্যে একটি যুগলকিশোর।

এই মন্দিরটি স্থাপন করে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী নদীর এই পারে এই এখানেই ভগবানের লীলা প্রকাশ পেয়েছিল। তিনি এই ঘাটে কোশি রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই মন্দির ‘কোশীঘাট মন্দির’ নামেও পরিচিত।

বাঁকেবিহারী মন্দির, বৃন্দাবন 

১৮৬৪ সালে তৈরি এই মন্দিরে সংগীত বিশারদ হরিদাস স্বামীর নিধিবনের বিশাখা কুণ্ডে পাওয়া নিকষ কালো অপূর্ব শ্রীমণ্ডিত বাঁকেবিহারী দেবতা এই মন্দিরে পূজিত হন।  

এই মন্দিরটির স্থাপত্য কর্ম রাজস্থানী ধরনের। মন্দিরটির উচ্চতা ৫৫৭ ফুট। এই মন্দিরকে ঘিরে কাহিনি আছে। একবার নিধিবনে তানসেনকে রাধাশ্যামের উদ্দেশে একটি গান গাইতে অনুরোধ করেছিলেন হরিদাস স্বামী। তানসেন গেয়েও ছিলেন, তার পরই ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। রাধাকৃষ্ণ তাঁদের সামনে আবির্ভূত হন। ভক্ত হরিদাসের অনুরোঢে তখনই রাধাকৃষ্ণ দু’জনে একটি মূর্তিতে বিলীন হন। তখনই আবির্ভূত হয় নিধিবনের বাঁকেবিহারী মূর্তিটি। কালো কষ্টিপাথরের মূর্তিটির অপূর্ব নয়নাভিরাম রূপ ভক্তদের মোহিত করে।

মদনমোহন মন্দির, বৃন্দাবন

বৃন্দাবনের আরও একটি বিখ্যাত মন্দির মদনমোহন মন্দির। মূলতানের রাজা কাপুর রাম দাস কালীয়দমন ঘাটের কাছে এই মন্দিরটি স্থাপন করেছিলেন। সময়টা ছিল ১৫৮০ সাল। বৃন্দাবনের প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম।এই মন্দিরটির উচ্চতা ৬০ ফুট। এই মন্দিরটি দেবদাসাদিত্য নামের ৫০ ফুটের একটি টিলার ওপর অবস্থিত।

সনাতন গোস্বামীর অনুরোধেই কাপুর রাম দাস কাপুর এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনের সঙ্গে এই মন্দিরটি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে এই মন্দিরের আদি মদনগোপাল বিগ্রহটি নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজস্থানের কারাউলিতে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে এই মন্দিরে মূল বিগ্রহের একটি প্রতিমূর্তি পূজিত হয়।এই মন্দিরে রাধারানি, মদনমোহন ও ললিতা সখীর পুজো হয়।

গোপীনাথ মন্দির, বৃন্দাবন

gopinath templeজয়পুরের রাজপুত্র রায় শিলাজি নির্মিত গোপীনাথ মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী কিছুটা মদনমোহন মন্দিরের মতো। রায় শিলাজি ছিলেন আকবরের সেনাপতি এবং শোনা যায় এই ঐতিহাসিক মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে বাদশাহ স্বয়ং খুব উৎসাহী ছিলেন। 

গোবিন্দজি মন্দির, বৃন্দাবন

gobinda templeমুঘল সম্রাট আকবরের দান করা লাল বেলেপাথর দিয়ে ১৫৯০ সালে জয়পুরের রাজা মানসিংহের হাতে গড়া এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। গ্রিক স্থাপত্যরীতিতে তৈরি করা মন্দিরটি আদিতে ছিল সাততলা। আওরঙ্গজব ওপরের চারটি তলা ধ্বংস করেন। আওরঙ্গজেবের হাত থেকে বাঁচাতে আদিমূর্তি সেই সময় জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বলা হয় গোবিন্দর অনুপম মুখমণ্ডল, গোপীনাথের প্রশস্ত বক্ষদেশ ও মদনমোহনের শ্রীচরণযুগল দর্শন করলে বৃন্দাবনের শ্রীকৃষ্ণদর্শন সম্পূর্ণ হয়।

নিধিবন, বৃন্দাবন

এটি কোনো মন্দির নয়। বৃন্দাবনে অবস্থিত একটি পবিত্র বন। এখানে রয়েছে অসংখ্য নিধি অর্থাৎ তুলসী গাছ। কথিত আছে তুলসী ছিলেন কৃষ্ণের ভক্ত। সেই তুলসীবনে প্রতি রাতে রাধারানি আর গোপিনী সখীদের নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ রাসলীলা করতে আসতেন। এখনও নাকি প্রতি রাতে তাঁরা এখানে বিরাজ করেন।  তাই প্রতি দিনই রাত নামলে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ এই নিধিবনে।  এখানে ভক্তরা কৃষ্ণকে বলেন ‘ঠাকুরজি’।

এই বনের মন্দিরে সারা দিন ভক্তরা ভজনপূজন করেন। কিন্তু রাত নামলেই পানসুপারি দিয়ে এই স্থান ছেড়ে দরজা বন্ধ করে চলে যান। পরের দিন সকালে নাকি এই পানসুপারি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কৃষ্ণভক্তদের কাছে বৃন্দাবনে অবস্থিত এই নিধিবনের মাহাত্ম্য কোনো মন্দিরের থেকে কোনো অংশে কম নয়

কী ভাবে যাবেন

ভারতের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে মথুরা রেলপথে যুক্ত। কলকাতা থেকে মথুরা যাওয়ার সরাসরি ট্রেন উদ্যান আভা তুফান এক্সপ্রেস (দৈনিক), চম্বল এক্সপ্রেস (প্রতি শুক্রবার) ও কলকাতা আগরা ক্যান্টনমেন্ট এক্সপ্রেস (প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার)। ট্রেনে দিল্লি গিয়েও সেখান থেকে ট্রেনে, বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে মথুরা আসা যায়। দিল্লি থেকে মথুরা আসার এক গুচ্ছ ট্রেন আছে, সময় লাগে ট্রেন বিশেষে দেড় ঘণ্টা থেকে সোয়া চার ঘণ্টা। ট্রেনের বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন https://erail.in

ভারতের যে কোনো জায়গা থেকে বিমানে দিল্লি এসে সেখান থেকে মথুরা আসা যায়। সড়কপথে দিল্লি থেকে মথুরার দূরত্ব ১৬৪ কিমি।    

কোথায় থাকবেন 

মথুরা-বৃন্দাবনে থাকার জন্য বহু ধর্মশালা রয়েছে। মথুরায় বেসরকারি হোটেলও আছে। নেটে সার্চ করলেই এ সবের সন্ধান পাওয়া যাবে। 

আর কী দেখবেন

গোকুল

gokul
যমুনাপারে গোকুল। ছবি সৌজন্যে ট্রিপ অ্যাডভাইসর।

যমুনা নদীর তীরে মথুরা থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার কেন্দ্রস্থল। গোকুলে দেখুন গোকুলানন্দ মন্দির, নন্দ কিলা (শ্রীনন্দ ভবন), শ্রী কৃষ্ণের বাল্যক্রীড়াস্থল ইত্যাদি।

মহাবন

খুব কাছেই মহাবন। সেখানে দেখে নিন মথুরানাথজি মন্দির, চৌরাশি খাম্বা (চুরাশিটি স্তম্ভবিশিষ্ট বৌদ্ধ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত প্রাচীন মন্দির), যোগমায়া মন্দির, রমণ রেতি, ঠাকুরানি ঘাট, ব্রহ্মাণ্ড ঘাট, যশোদা মন্দির, তৃণাবর্ত বিহারী মন্দির   ইত্যাদি।

বলদেও

daoji temple, baldeo
দাউজি মন্দির। ছবি সৌজন্যে টেম্পল অ্যাডভাইসর।

মহাবন থেকে ১১ কিমি দূরে শ্রীকৃষ্ণের অগ্রজ বলরাম তথা বলভদ্রের স্মৃতিবিজড়িত বলদেও। এখানে দেখে নিন দাউজি মন্দির (মন্দিরে রয়েছে বলভদ্র ও তাঁর পত্নী রেবতীদেবীর বিগ্রহ), ক্ষীরসাগর বা বলভদ্র কুণ্ড।

নন্দগাঁও

মথুরা থেকে ৫১ কিমি দূরে নন্দরাজার আবাস শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার কেন্দ্রস্থল। এখানে দেখে নিন টিলার টঙে নন্দভবন তথা নন্দগ্রাম মন্দির, নন্দীশ্বর মহাদেব মন্দির, পবন সরোবর (কথিত আছে, মা যশোদা এখানে বালক শ্রীকৃষ্ণকে স্নান করাতেন।),  চরণ পাহাড়ি (শ্রীকৃষ্ণের পায়ের ছাপ) ইত্যাদি।

বরসনা

shriji temple
শ্রীজি মন্দির।

নন্দগাঁও থেকে ১০ কিমি ও মথুরা থেকে ৪২ কিমি দূরে শ্রীরাধিকার জন্মভূমি বরসনা। এখানে দেখে নিন ১৬৭৫-এ নির্মিত লাডলিজি মন্দির, মান মন্দির, মোরকুটির মন্দির, শ্রীজি মন্দির, প্রেম সরোবর (যেখানে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীরাধার প্রথম সাক্ষাৎ হয়।), সঙ্করি খোর (ব্রহ্ম পাহাড় আর বিষ্ণু পাহাড়ের মাঝে সরু পথ, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর দলবল রাধাদের পথ আটকাত।)।   এখানকার লাঠমার হোলি বিখ্যাত।

গোবর্ধন

govardhan hill
গোবর্ধন পাহাড়।

বরসানা থেকে ২০ কিমি ও মথুরা থেকে ২২ কিমি দূরে গোবর্ধন। এই সেই কিংবদন্তি স্থল যেখানে ইন্দ্রের কোপ থেকে রক্ষা করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং কড়ে আঙুলে গোবর্ধন পাহাড়কে ধারণ করেছিলেন। গোবর্ধন পর্বতের চূড়ায় দেখবেন বল্লভাচার্জ প্রতিষ্ঠিত (১৫২০ সালে) মন্দির। এ ছাড়া দেখুন শ্রীচৈতন্য মন্দির,  মানসীগঙ্গা সরোবর, কুসুম সরোবর ও সাকিতারা (এখানে ভরতপুর রাজপরিবারের সদস্যদের স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছে অনেকগুলি সুদৃশ্য ছত্রি। এর মধ্যে রাজা সুরজমল এবং বলদেবের ছত্রি সবচেয়ে সুন্দর।)। গোবর্ধন থেকে ৫ কিমি উত্তরে পাশাপাশি দুই কুণ্ড, রাধাকুণ্ড ও শ্যামকুণ্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *