ঘরে বসে মানসভ্রমণ: যমুনা-তীরে বটেশ্বর

temple town Bateshwar

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: ঘরবন্দি দশায় মন খারাপ? ভাবছেন বসে বসে কী করবেন? পরিচিত পর্যটনস্থল নয়, অচেনা, স্বল্প-চেনা জায়গার হদিস দিচ্ছে ভ্রমণ অনলাইন। মন সজীব রাখতে মানসভ্রমণ করুন। আজ যাওয়া যাক বটেশ্বর।

যমুনার ধারে বটেশ্বর, মন্দির-শহর। লোককথা, এখানে এক বটগাছের ছায়ায় বসে ভগবান শিব বিশ্রাম নিয়েছিলেন। তাই এই জায়গার নাম বটেশ্বর। সেই পবিত্র বটগাছ আজও রয়েছে। শহরের মূল বিগ্রহ বটেশ্বরনাথজি। ভগবান শিবের আরও এক রূপ বটেশ্বরনাথ। একটা সময়ে এই ছোট্ট শহরে ১০১টা মন্দির ছিল। কালের প্রবাহে আজ তার অধিকাংশই ধ্বংস। তবু নয় নয় করে ৪২টার মতো মন্দির টিকে আছে। ৪০০ বছর আগে ভাদোয়ার বংশের বিখ্যাত রাজা বদন সিং মাঈ থেকে রাজ্যপাট তুলে এনে বটেশ্বরে বসান। আজ বটেশ্বরে যে সব মন্দির দাঁড়িয়ে আছে এবং যে সব মন্দির সেখানে ছিল এক কালে তার সবই রাজা বদন সিং-এর কীর্তি।

মাৎস্যপুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারতে, এমনকি জৈন ধর্মগ্রন্থেও বটেশ্বরের উল্লেখ পাওয়া যায়।

বটেশ্বরের আরও দ্রষ্টব্য যমুনার ধারে সার দিয়ে ঘাট। বহু মন্দির ঘাটসংলগ্ন। এই সব মন্দিরের ফ্রেসকো চিত্রকলা আজও অটুট। এই বটেশ্বর জৈনধর্মের ২২তম তীর্থঙ্কর নেমিনাথের জন্মস্থান যা এখন শ্রী শৌরিপুর দিগম্বর জৈন সিদ্ধ ক্ষেত্র নামে খ্যাত।

উল্লেখ্য, বটেশ্বর ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর পৈতৃক গ্রাম।

আরও পড়ুন:  ঘরে বসে মানসভ্রমণ: বস্তার

কী ভাবে যাবেন

আগরা বেড়াতে গিয়ে ঘুরে নিতে পারেন বটেশ্বর। ভারতের যে কোনো বড়ো শহরের সঙ্গে আগরা বিমান ও ট্রেনপথে যুক্ত। সড়কপথে আগরা থেকে বটেশ্বর ৭১ কিমি, বাস বা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায়। আগরা থেকে ট্রেনেও আসা যায়। আগরা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে বিকেল ৫.১০-এর মৈনপুরী ডেমু প্যাসেঞ্জার বটেশ্বর পৌঁছে দেয় সন্ধে ৬.৪৬ মিনিটে।    

আগরার বদলে শিকোহাবাদ থেকেও বটেশ্বর যাওয়া যায়। শিকোহাবাদও ভারতের যে কোনো বড়ো শহরের সঙ্গে ট্রেনপথে যুক্ত। শিকোহাবাদ থেকে বটেশ্বর ২৬ কিমি, বাস বা গাড়িতে যাওয়া যায়। ট্রেন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখে নিন erail.in ।

কোথায় থাকবেন

আগরা থেকে এক দিনেই ঘুরে নেওয়া যায় বটেশ্বর। তবে যমুনা-তীরবর্তী বটেশ্বরে এক দিন কাটাতে পারলে ভালোই লাগবে। থাকার জন্য রয়েছে নানা বেসরকারি হোটেল, লজ রয়েছে। নেট সার্চ করলে সন্ধান পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *