এই বর্ষায় মধ্যপ্রদেশের এই চারটি সড়কভ্রমণে অবশ্যই চলুন

roadtrip to pachmarhi

ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: এক সুবিশাল রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। এই রাজের প্রতিটি কোনায় রয়েছে চমক, রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ইতিহাসের ছোঁয়া। এই বর্ষায় মধ্যপ্রদেশ গেলে এই চারটি সড়কভ্রমণ বা রোড ট্রিপ করতে কিন্তু ভুলবেন না।

ভোপাল থেকে ইন্দৌর (১৯৩ কিমি)

রাস্তার দু’পাশে সোনালি গমের খেত, ফলের বাগান, দূরে হাওয়াকল, এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ কি ছাড়া যায়? না তো! তা হলে গাড়ি বা বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান আপনার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে। আর হ্যাঁ অবশ্যই সকালে বেরোবেন কারণন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দোদি হাইওয়ে থেকে পোহা আর জিলিপি খেতে হবে তো! তার পরেই ফুরফুরে মন নিয়ে পৌঁছে যাবেন ইন্দোর।

আরও পড়ুন অনলাইনে কাটলে পর্যটকেরা কুতুব মিনারের টিকিটে পাবেন ছাড়

ইন্দৌর থেকে মান্ডু (৯৮ কিমি)

ভোপাল থেকে ইন্দৌর গিয়ে ঐতিহাসিক এই শহরে দু’দিন থেকে শহরের আমেজ তো চাক্ষুষ করতেই হবে। এর পর আরও রোড ট্রিপের মজা নেওয়ার জন্য যেতে পারেন মান্ডু। হালকা পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গল আপনার মন ছুঁতে বাধ্য। মান্ডু পৌঁছে অবশ্যই যাবেন জাহাজ মহল, রানি রূপমতি মহল, বাজবাহাদুর প্রাসাদ, হিন্দোলা প্রাসাদ, জামি মসজিদ, আশরাফি মহল, আরও কত শত দ্রষ্টব্য। আপনি যদি ইতিহাস পছন্দ করেন তবে এই জায়গাগুলি আপনারই জন্য। আর আপনি যদি রাতে মান্ডু থাকেন, তবে হিন্দোলা মহলেও অবশ্যই যাবেন।

গ্বালিয়র থেকে বটেশ্বর (১২৫ কিমি)

bridge at noorabad
নুরাবাদে সেই সেতু।

এ বার আসি মধ্যপ্রদেশের উত্তর দিকে। গ্বালিয়র (আমরা যাকে বলি  গোয়ালিয়র, আদতে তা গ্বালিয়র) থেকে যেতে পারেন মোরেনা।  ইতিহাসে মোড়া নুরাবাদ গ্রাম আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূরজাহানের নামানুসারে এই গ্রামের নাম। এই জায়গার প্রধান আকর্ষণ শঙ্খ নদীর ওপরে মোগল আমলের একটি ব্রিজ। এই রকম ব্রিজ সচরাচর দেখা যায় না। এই সেতুটি নানা ছত্রী আর মিনারে সজ্জিত, যা দেখে সহজেই বোঝা যায় যে এটি অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। নুরাবাদ থেকে সোজা যেতে পারেন বটেশ্বরে। প্রায় ২৫ একর জমিতে ২০০টি মন্দির নিয়ে এই বটেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণ। প্রবেশদ্বার থেকে একটি বাঁধানো পথ আপনাকে মন্দিরে নিয়ে যাবে। প্রাঙ্গণে হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পাবেন যেন  শয়ে শয়ে আকাশছোঁয়া মন্দির ইতিহাস বহন করে চলেছে। এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার গেলেই আপনি দেখতে পাবেন ‘গড়হি পাড়াওয়ালি’ নামে এক দুর্গ এবং মিতোয়ালি গ্রামে টিলার মাথায় চৌষট যোগিনী মন্দির।

ভোপাল থেকে পাঁচমাড়ি (১৯৫ কিমি)

সাতপুরা পর্বতের রানি পাঁচমাড়ি ট্রেনে যাওয়ার সুবিধা থাকলেও এই বর্ষায় সড়কপথে ভোপাল থেকে পাঁচমাড়ি যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। কারণ সবুজ বনানী এবং পাহাড়ি রাস্তায় অসংখ্য ঝরনা ঝর্ণা এবং আরও অনেক চমক নিয়ে এই রাস্তা আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে। পাঁচমাড়িতে অবশ্যই দেখতে ভুলবেন না ধূপগড়, পাণ্ডব গুহা, জটাশঙ্কর মন্দির, অপ্সরা ঝরনা, রজত প্রপাত এবং আরও নানা ঐতিহ্যপূর্ণ দ্রষ্টব্য।

তা হলে আর দেরি কিসের? তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ুন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *